ক্রিকেটারদের কি ভিক্ষুক মনে করে বিসিবি? পাপনকে ওভারট্রাম করলেন মেয়র আতিক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৪ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অকালে ঝরে গেলো একটি নক্ষত্র। গত ১৯ এপ্রিল মাত্র ৪০ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল।মোশাররফ রুবেলের অবুঝ সন্তান এখনও বোঝে না তার বাবা নেই। এখনও বাবার জন্য অপেক্ষা করে থাকে সে। রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা কিভাবে বুঝাবেন ছেলেকে? কিইবা করার আছে!
ব্রেন টিউমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াইয়ে হার মেনেছেন রুবেল। কিন্তু রুবেল হার মানলেও তার স্বপ্নকে মরে যেতে দেবেন না স্ত্রী চৈতি। রুবেলের ইচ্ছে ছিল, তার ছেলে তারই মতো ক্রিকেটার হবে। চৈতি সেই স্বপ্ন সত্যি করতে চান। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে তিনি অভিভাবক হিসেবে পাচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলামকে।
(শুক্রবার) সংবাদমাধ্যমকে চৈতি বলেন, ‘রুবেলের খুব ইচ্ছা ছিল ছেলেটাকে ভালো ক্রিকেটার বানানোর। আমি সর্বোচ্চ পরিমাণে চেষ্টা করব একজন ক্রিকেটার হিসেবে তৈরি করার। মেয়র বলেছেন, পারিবারিক অভিভাবক হিসেবে উনি থাকবেন সবসময়। আমরা হয়ত বিসিবিকেও পাশে পাব।’
রুবেলকে সমাহিত করা হয়েছে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। জাতীয় এই ক্রিকেটারের পরিবারের আকুতি ছিল, তার কবরটা যেন স্থায়ী হয়। মেয়র আতিকুল রুবেলের কবরকে স্থায়ীকরণের অনুমোদন দিয়েছেন। বিদেশ থেকে ফিরে আতিকুল আজ রুবেলের বাসায় যান তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
সেখানে মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে চৈতি বলেন, ‘মাননীয় মেয়রের কাছে আমি অসম্ভব রকমের কৃতজ্ঞ। রুবেল মারা যাওয়ার পর আসলে আমার একটাই চাওয়া ছিল। আমার আর কোনো চাওয়া নেই। রুবেলকে যেন আমরা দেখতে পারি। তার শরীরটা তো ওখানেই আছে। আমরা পুরো পরিবার মেয়রের কাছে কৃতজ্ঞ। অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
এছাড়া কবর স্থায়ীকরণের জন্য যে আবেদন করেছিলেন, সেটা উচ্চমহলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রুবেলের সহধর্মিনী।
কিন্তু মেয়র আতিকুলের থেকে বিসিবি সভাপতিকে রুবেলের পরিবারের পাশে আসে দাঁড়ানো উচিত। যেখানে অভিবাবক হিসেবে বিসিবি সভাপতিকে রুবেলের পরিবারের পাশে দাড়ানর কথা সেখানে ক্রিকেটের সাতে যার কনো জরিত নয় সেই মেয়র আতিকুল রুবেলের পরিবারের অভিবাবক হয়ে তাদের পাশে থাকছেন।
এক ইফতার মাহফিলে রুবেলের পরিবারের পাশে এসে দাড়ানোর জন্য বিসিবিকে প্রশ্ন করা হলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন-‘ তাদের কোন সাহায্য সহযোগিতা লাগলে তারা বিসিবির কাছে যাবে তাদেরকে যত দুর সম্ভব সহযোগিতা করা হবে’।
একজন ক্রিকেটারের স্ত্রীকে যদি বিসিবির এই দরজা থেকে অই দরজায় ঘুরতে হয় তাহলে বিসিবি ক্রিকেটারদের কেমন অভিবাবক হল? এই বিষয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে তবে সব প্রশ্নের উত্তর এক্টাই-” সাদের বিসিবি এত বছরে থেকে গেছে অরগানাইজার, কোন অভিবাবক হয়ে উঠতে পারেনি”।