avertisements 2

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

মিরপুরে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে চার ফিফটিতে ৪ উইকেটে ৩০০ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে এখন ব্যাট করছে।

ঢাকা টেস্ট দিয়েই বাংলাদেশের ৯৯তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল মাহমুদুল হাসান জয়ের। কিন্তু নিজের অভিষেক ম্যাচটি রাঙাতে পারলেন না। ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান টিকলেন মাত্র ৭ বল। সাজিদের ডেলিভারিতে স্লিপে বাবর আজমের তালুবন্দী হয়ে আউট হলেন কোনো রান না করেই। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকে শূন্য রানে আউট হওয়ার ২৬তম ঘটনা এটি।

 শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে অস্বস্তিতে ছিলেন সাদমান। সাজিদ খানের বলে অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি।  হাসান আলীর ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে এই ওপেনার ২৮ বলে ৩ রান করেন। এক ওভার পর আত্মঘাতী রান আউটে কাঁটা পড়েন অধিনায়ক মুমিনুল। সরাসরি থ্রোয়ে এক রান করা মুমিনুলের বিদায়ঘণ্টা বাজান হাসান আলি।

সাজিদ খানের বলে এক বল আগেই আম্পায়ার্স কলের কারণে বেঁচে যান মুশফিক। পরের বলেই জীবনটা হেলায় হারালেন টাইগার দলের সেরা ব্যাটসম্যান। সাজিদের বলে স্লগ সুইপ খেলে শর্ট মিড উইকেটে ফাওয়াদ আলমের ক্যাচ হন তিনি।

১৪তম ওভারের নোমান আলীর শিকার হতে পারতেন শান্ত। তার ওভারে শান্তর অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। শান্ত রিভিউ চেক করতে গিয়ে আম্পায়ার শুরুতেই 'নো' বলের ঘোষণা দেন। এতে বেঁচে যান শান্ত। নো বল হওয়ায় আর বল ব্যাটে লেগেছে কি না সেটা পরীক্ষা করার দরকার হয়নি।

উইকেটে থাকতে ইচ্ছা হলো না লিটনেরও। প্রথম টেস্টে দারুণ খেলা লিটন দাসকেও তুলে নেন সাজিদ। সাজিদকে মারতে যেয়ে ৬ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড হন লিটন। অবশেষে টিকলেন না শান্তও। সাজিদের বলে এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু লাভ হয়নি। ৩০ রানে ফিরে গেলেন শান্ত।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭১ রান।

ঢাকা টেস্ট বৃষ্টির কবলে ছিল প্রথম তিন দিন। বৃষ্টির বাধায় তৃতীয় দিন শেষে মাত্র ৬৩.২ ওভার খেলা হয়েছে। প্রথম দিনে ৫৭ ওভার খেলা হয়েছিল। গত দুইদিনে মাত্র ৬.২ ওভার খেলা হয়েছে। চতুর্থ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মাঠ ভেজা থাকায় খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে। ৮৬ ওভারের লক্ষ্যে সকাল ১০টা ৫০মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা।

দিনের দশম বলেই উইকেট নেন ডানহাতি পেসার এবাদত। উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আজহার আলিকে। পাক ওপেনার সাজঘরে ফিরেন ৫৬ রানে। তার আউটে ভেঙে যায় ১২৩ রানের জুটি। 

দলীয় ১৯৭ রানে বাবর আজমকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান খালেদ আহমেদ। নিঃসন্দেহে তার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে উইকেটটি। ২০১৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর জাতীয় দলে অনিয়মিত পেসার খালেদ নিজের তৃতীয় টেস্টে এসে প্রথম উইকেটের দেখা পান। সেটাও আবার টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট রাঙান তিনি। ভেতরে ঢোকা বলটি কিছুটা নিচু হয়েছিল। প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে দেন আউটের সিদ্ধান্ত। রিভিউ নিয়েছিলেন বাবর। তাতে কাজ হয়নি। বাবর সাজঘরে ফেরেন ৭৬ রানে। তার ১২৬ বলের ইনিংসে চার ৯টি ও ছয় ১টি।

৭৩তম ওভারে এবাদতের শেষ বলটি ফাওয়াদ আলমের ব্যাট ছুঁয়ে যায় লিটনের গ্লাভসে। তবে বুঝতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আপিল না করায় তার উইকেট পেল না বাংলাদেশ। বেঁচে যান ফাওয়াদ আলম।

এবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি ঠিকমতো খেলতে পারেননি ফাওয়াদ। ব্যাটের পাশ ঘেঁষে বল যায় কিপারের গ্লাভসে। কোনো আবেদন হয়নি। একটু পর টিভি রিপ্লেতে আল্ট্রা এজে দেখা যায়, ব্যাটে হালকা লেগেছিল বল। ফাওয়াদ তাই বেঁচে যান ১২ রানে।

৮০ ওভার শেষ হতেই দ্বিতীয় নতুল বল নেয় বাংলাদেশ। নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন এবাদত। প্রথম সেশনে ১৯.৪ ওভার খেলা হয়েছে। ২ উইকেটে ৫৪ রান তুলেছে পাকিস্তান।

পরপর দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম। ৯৪তম ওভারে তাইজুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন রিজওয়ান। চারটি চার ও এক ছয়ে ৮৬ বলে অর্ধশতক তুলেন তিনি। 

রিজওয়ানের পর ফাওয়াদের ফিফটিতে ৩০০ পূর্ণ করে পাকিস্তান। এরপরেই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারী দল। চতুর্থ দিন দেড় সেশন ব্যাটিং করে ২ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান যোগ করে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন বাবর। রিজওয়ান ৫৩ ও ফাওয়াদ ৫০ রানে অপরাজিত আছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2