প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ নভেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৯ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আগামী বছরে ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সরাসরি অংশগ্রহণ অনেক আগেই নিশ্চিত হয়েছে গত আসরের চার সেমিফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের।
বাকি তিনটি দল নির্ধারণে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উঠেছিল জমে। রোমানা-সালমার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন দেখেছে বাংলাদেশ।
তবে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠানরত নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ওই জয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২৭০ রানের বিশাল জয়ের পর থাইল্যান্ডের মেয়েদের কাছে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ১৬ রানে হার-শঙ্কাও জাগিয়েছে।
তবে সব শঙ্কা দূর হয়েছে। শ্রীলঙ্কা দলের এক সাপোর্ট স্টাফ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পূর্ব নির্ধারিত ম্যাচটি শনিবার মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি। শনিবার জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ডের ম্যাচটিও হয়ে গেছে স্থগিত।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব মাঝপথে এসে হয়ে গেছে স্থগিত। ফলে বাধ্য হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে মূল পর্বের জন্য সেরা তিন দল নির্বাচনে আইসিসি বিবেচনায় এনেছে র্যাঙ্কিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের সাথে নারী বিশ্বকাপের মূল আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আইসিসির এই সিদ্ধান্তে সালমা, রোমানা, জাহানারাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই প্রথম ৫০ ওভারের নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল পর্বে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০১১ সালে ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর বিশ্বকাপের টিকেট পেতে অপেক্ষা করতে হলো বাংলাদেশ নারী দলকে ১০ বছর। এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি জানিয়েছেন- ‘আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে নিয়ে ঝুঁকি বেড়েছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে দলসমূহকে দেশে ফেরত পাঠাতে হচ্ছে। সে কারণে এই ইভেন্টটি বাতিল করতে হলো। ইভেন্টটি সম্পন্ন করতে আমরা সব বিকল্প পথ খুঁজেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হচ্ছে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিম্বাবুয়ে থেকে দলগুলোকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন তাদের র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় আইসিসি নারী বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে। শ্রীলঙ্কা এবং আয়ারল্যান্ডও আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী চক্রে তাদের সাথে যোগ দিবে।’