রেকর্ড জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করতে তিন রানের জয় লাগত বাংলাদেশের। দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিং পারফরম্যান্সে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর দল জিতল ৮৪ রানে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণ দুটি ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ১৮১ রানের সংগ্রহ গড়া বাংলাদেশ পাপুয়া নিউগিনিকে পরে গুটিয়ে দিয়েছে ৯৭ রানে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ড এটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭১ রানের জয়। ২০১২ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পরের ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে বিপদ কমেছিল । আজ তিন রানের জয় হলেই চলত। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের ক্ষোভ বুঝি খর্বশক্তির পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আজ উগড়ে দিতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ সাকিবরা। আগের ম্যাচের মতো আজও ম্যাচের নায়ক সাকিব। প্রথমে ৩৭ বলে ৪৬ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন। পরে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ওমানের রাজধানী মাসকটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে ১৮১ রানের সংগ্রহ নিয়ে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই চেপে ধরে পুপায়া নিউগিনিকে। তৃতীয় ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগা সিয়াকাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক আসেদ ভালাকে (৬) ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনির কোমড় ভেঙে দিয়েছেন সাকিব।
ইনিংসের পঞ্চম ওভার থেকে বোলিংয়ে আসা সাকিব এক স্পেলেই পাপুয়া নিউগিনিকে অসহায় বানিয়ে ছেড়েছেন। পরপর চার ওভার বোলিং করে ৯ রান নিয়েছেন চার উইকেট। ম্যাচের ভাগ্য সেখানেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। বাকি সময়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনি। আটে নেমে উইকেটকিপার কিপলিন ডরিগা ৩৪ বল খেলে ২টি চার ২টি ছয়ে ৪৬ রান করলেও দলকে একশ পর্যন্ত নিতে পারেননি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তিন বল আগে ৯৭ রানে গুটিয়ে গেছে পাপুয়া নিউগিনি। তাসকিন ৩.৩ ওভার বোলিং করে ১২ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট। শেখ মাহেদি ২০ ওভারে নিয়েছেন এক উইকেট।