নাসির-তামিমা এখনও ‘ব্যভিচারে’ লিপ্ত!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করেছেন তামিমা সুলতানা তাম্মি। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রতিবেদনে (পিবিআই) এসব বিষয় উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। লিগ্যালভাবে রাকিব তালাকের কোনও নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জাল জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবে স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ।নাসির হোসাইন, তামিমা সুলতানা এবং তামিমার মা সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী রাকিব হাসান। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, বাদী রাকিব হাসান এবং আইনজীবী ইশরাত হাসানের ভাষ্য বলছে, মামলার বাদী রাকিবের স্ত্রী তামিমা এখনও ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে নিকৃষ্ট ব্যভিচারে লিপ্ত রয়েছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘মামলাটি তদন্তকালীন সময়ে বাদীর আরজি পর্যালোচনায় দেখা যায়- বাদী বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগে ১নং বিবাদী তামিমা সুলতানার বাদীর সাথে বিবাহের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় ২নং বিবাদী নাসির হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ১নং বিবাদী তামিমা সুলতানার সাথে অবৈধ বিবাহের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন যাহা নিকৃষ্ট ব্যভিচার। ২নং বিবাদী মো. নাসির হোসাইন ১নং বিবাদী তামিমা সুলতানাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বিবাদীদ্বয়ের এহেন কার্যকলাপে বাদীর চরমভাবে মানহানি হয়েছে যার দরুন বাদী ও তার সন্তানের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ক্রিকেটার নাসির হোসাইন অবৈধভাবে রাকিব হাসানের স্ত্রী তামিমাকে বিয়ে করেছেন। যা মুসলিম ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। ফলে এটি নিঃসন্দেহে অপরাধ। এ বিষয়ে এখন আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে, যেহেতু পিবিআই তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে- নাসিরের সঙ্গে তামিমার অবস্থান অবৈধ। যা স্পষ্ট ব্যভিচার হচ্ছে।
ফলে তাদের উচিৎ হবে, আলাদা থাকা। কেননা তামিমার স্বামী এখনও রাকিব হাসানই রয়েছেন। অর্থাৎ, ক্রিকেটার নাসির তার বৈধ স্বামী নন। তাই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আদালতের মাধ্যমে এই জটিলতা সুরাহার আগ পর্যন্ত তাদের নিজেদের সামাজিক মানসম্মানের কথা মাথায় রেখে আলাদা অবস্থানে থেকে সেটি স্পষ্ট করা দরকার। দেশের আইন ও মুসলিম রীতিনীতি অনুযায়ী, একজন নারী এক স্বামী বর্তমান থাকা অবস্থায় অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারেন না। যদি তা করেন, সেটি অবশ্যই আইনের লঙ্ঘন হবে। যে কারণে সংশ্লিষ্ট সকলকেই আইনের আওতায় আসতে হবে।’
এদিকে রাকিব হাসান একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, ‘তামিমা সুলতানা আমার স্ত্রী হিসেবে কাগজ কলমে বর্তমান রয়েছেন, বাস্তবতায় নাসিরের কাছে- এটি পিবিআই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে বের করেছে। যা প্রতিবেদন আকারে আদালতেও জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তামিমা সুলতানা আমার স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও নাসির আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। আমি নাসির ও তামিমাকে আলাদা থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তারা একসঙ্গে থাকাকে কন্টিনিউ করতে চায়, তাহলে তামিমা আমাকে তালাক দিয়ে দিক। তাতে তাদের একসঙ্গে থাকার বিষয়টি বৈধতায় রূপ নেবে। তারা এখন যা করছে সেটা ব্যভিচার।’