সম্পর্কে দুজনে ভায়রা-ভাই
আল্লাহ জানেন এর রহস্য: রিয়াদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মধ্যে আছে পারিবারিক সম্পর্ক। সম্পর্কে তারা দুজনে একে অপরের ভায়রা-ভাই।
তবে তাদের মাঠের জুটি সেই সম্পর্ককে যেন আরো মজবুত করে দেয়। বহু ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশ দলকে টেনে তুলেছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটি।দলের ব্যাটিং লাইনআপ যখন বিপদে পড়ছে, তখন মুশফিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হচ্ছেন রিয়াদ।
জাতীয় দলের এই দুই অভিজ্ঞ তারকা মাঠে যতক্ষণ থাকেন, টাইগার সমর্থকরা নির্ভয়ে ততক্ষণ খেলা উপভোগ করেন।
শ্রীলংকার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের বিগত দুই ম্যাচও মুশফিক-রিয়াদ জুটি উপভোগ করেছেন সমর্থকরা।
মুশফিকের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি কীভাবে হয়ে যায় রিয়াদের, এর রহস্য কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মুচকি হাসি দেখা গেল রিয়াদের মুখে।
তিনি জানালেন, এই রহস্য মাহন আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। তবে ভবিষ্যতে মুশফিকের সঙ্গে আরও বড় বড় জুটি গড়তে চান তিনি।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বললেন, ‘আল্লাহই জানেন এ বিষয়ে। আলহামদুলিল্লাহ পার্টনারশিপগুলো ভালো হচ্ছে। চাইব আরও যেন অবদান রাখতে পারি দুজন।’
তবে ছোট ভায়রা-ভাই মুশফিকের চেয়ে তার ব্যাটিং গভীরতা কম, তা মানেন রিয়াদ। এর অবশ্য কারণও রয়েছে।
মুশফিকের চেয়ে রিয়াদ ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখার সুযোগ পান কম। তার ব্যাটিং অর্ডারে তার স্থানটা শেষের দিকে।
বিষয়টি উল্লেখ করে রিয়াদ বলেন, ‘যেহেতু আমি লেট মিডল অর্ডারে ব্যাট করি, অনেক সময় ৩০-৪০ রান করে আউট হয়ে যাই। আমাকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। আমি ছয় নম্বরে ব্যাট করি, ওই সময়ে যা দলের জন্য দরকার, সেটা করাই লক্ষ্য থাকে। সঠিক সময়ে দলের জন্য অবদান রাখাই আমার লক্ষ্য। আমার জন্য এটাই যথেষ্ট। ’
জুনিয়রদের সঙ্গেও নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
বললেন, ‘লেট মিডল অর্ডারের আফিফের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ওই পজিশনে যারা ব্যাট করছে তারা কীভাবে দলের জন্য সেরা ভূমিকাটা রাখতে পারবে এটা নিয়ে সবসময় নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি সতীর্থদের সঙ্গে। আমি নিজেও ভালো খেলার চেষ্টা করি। অনেক সময় পারি, অনেক সময় পারি না। তবে তাড়নাটা সবসময়ই আছে। শেষ ম্যাচে আরেকটা সুযোগ পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ভালো করার চেষ্টা করব।’