avertisements 2

বিশ্রামেই শান্তি খুঁজছে বাংলাদেশ দল

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ১২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে আবহাওয়ার খবর দেখাটা লন্ডনের মানুষের পুরোনো অভ্যাস। দিল্লিরও নাকি একটা অভ্যাস হয়েছে ইদানীং, সেটা হলো সকাল সকাল শহরের দূষণের মাত্রা দেখে বাড়ির বাইরে পা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া। গতকাল যেমন দিল্লির দূষণের মাত্রা ছিল ২ দশমিক ৫। বিশ্বের দূষিত শহরের মধ্যে ৮ নম্বর। 

একেবারে জরুরি কোনো কাজ না থাকলে নাকি এই মাত্রায় বাচ্চাদের বাইরে বের করেন না অভিভাবকরা। বাংলাদেশ দলেরও কেউ বের হননি কাল হোটেল থেকে। অবশ্য তাদের কাজও তো তেমন কিছু নেই! শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচ সেই সোমবার। তাই হয়তো অযথা মাঠে না গিয়ে হোটেলের মধ্যেই শান্তি খুঁজে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিবরা।

কলকাতা থেকে আসার পর সেই যে সবাই দিল্লির লা মেরিডিয়েনের রুমের চাবি বুঝে নিয়েছেন, গতকাল দুপুর পর্যন্ত আর সেখান থেকে বের হননি। দু’দিনের ছুটি জারি করেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বিশ্বকাপে আসার পর থেকেই অবশ্য তাঁর এই বিশ্রাম আর ছুটির রুটিন শুরু। এ সময় ক্রিকেটাররা বাইরে না বেরোলেও দলের সঙ্গে প্রত্যেক কোচিং স্টাফই অবশ্য সঙ্গে আনা পরিবার নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরতে বেরোচ্ছেন। 

ব্যতিক্রম কেবল ক্রিকেটাররা; কেননা বাইরে বেরোলেই স্বদেশি চ্যানেলগুলোর প্রায় এক ডজন ক্যামেরা ফলো করবে তাদের। আর পারফরম্যান্সের যে অবস্থা, তাতে ক্যামেরার সামনে দিয়ে শহর ঘোরার পর্যটন মানসিকতা থেকে বের হয়েছেন ক্রিকেটাররা। গতকালও যেমন মেরিডিয়েনের নিচতলার অভ্যর্থনা কক্ষে বসেছিলেন অনেক সাংবাদিক। কিন্তু পুনেতে যেমন লিটন দাসের কাণ্ড হয়েছিল, এদিন আর তেমন কিছু মেলেনি। এবার সেই লিটনও রয়েছেন ঢাকাতে। পারিবারিক কারণে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে দু’দিনের ছুটি নিয়ে দেশে গেছেন তিনি। আজ অবশ্য তাঁর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। আজই দিল্লিতে প্রথম অনুশীলনেও নামার কথা সাকিবদের।

অবশ্য এদিন শহরে কিংবা মাঠে না বেরোনোর একটা যুক্তিও নাকি রয়েছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। মাঠে না গিয়ে সবাই মিলে এদিন দুপুর থেকে ভারত আর শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দেখার সিদ্ধান্ত নেন। পরের ম্যাচ যেহেতু এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, তাই ভারতের সঙ্গে সেই লঙ্কানদের শক্তি-দুর্বলতা টিভিতে দেখে নেওয়ার একটা সেশন অন্তত করা যায়। 

হাথুরুর এই ভাবনা কতটা কাজে দেবে, বলা মুশকিল। আসলে যে ধরনের কৌশলই নেওয়া হচ্ছে না কেন, রেজাল্ট কিন্তু তাতে পাল্টাচ্ছে না! দলের এই হাল নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত বিসিবি সভাপতি। কলকাতা থেকেই দেশে ফিরে গেছেন নাজমুল হাসান পাপন। দিল্লিতে পরের ম্যাচের আগে আসবেন কিনা, সেটাও নিশ্চিত নয়। অবশ্য তিনি এলে একজন অন্তত বেশ চাপে থাকেন– কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোচকে যে স্বাধীনতা তিনি দিয়েছেন, তার কোনো মর্যাদা রাখতে পারছেন– প্রশ্ন উঠেছে তা।

উত্তর হয়তো দিতে হবে তাঁর বিশ্বকাপের পর। এবারের আসরে শুরু থেকেই বিশ্রাম আর ছুটি রেখে দল চালাচ্ছেন তিনি। ম্যাচের দু’দিন আগে শুরু হচ্ছে মাঠ দর্শন আর নেট সেশন। ম্যাচের আগের দিন এক ঘণ্টায় একেকজন ব্যাটার ১০ মিনিট করেও নেটে কাটিয়ে কি তার আগের ম্যাচের দুর্বলতাগুলো থেকে নিজেকে শুধরে নিতে পারছেন? এটা ঠিক যে, লম্বা টুর্নামেন্টে ট্রাভেল বাদ দিলেও প্রতিদিন অনুশীলন কেউই করে না। কিন্তু যে দলের কোনো ব্যাটার রান পাচ্ছে না, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কি নেটে সেশন বাড়ানো যেত না?

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2