ভারতের কলকাঠিতে পাকিস্তান থেকে সরে যাচ্ছে এশিয়া কাপ!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৩৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
পাকিস্তানেরই আয়োজন করার কথা ছিল এবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। কিন্তু ভারত বলে আসছিল, তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। এর জবাবে পাকিস্তান জানিয়েছিল, এমনটা হলে তারাও ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না। এমন প্রেক্ষাপটে পরবর্তী এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে 'নিরপেক্ষ ভেন্যু' সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না দিলেও ভারতীয় মিডিয়া খবরটি বেশ গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, আসন্ন এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে কম বিতর্ক চলছে না। এই নিয়ে জোর ঝামেলা চলছে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে। প্রকাশ্যেই কার্যত একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন দুই বোর্ডের কর্মকর্তা ব্যক্তিরা। প্রথমে ঠিক ছিল আসন্ন এশিয়া কাপের আসর বসবে পাকিস্তানে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ স্পষ্ট করে দেন, ভারতের পক্ষে পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলা সম্ভব নয়। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। জয় শাহ ওই সময়ে এশিয়া কাপের আয়োজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে করার দাবি জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, জয় শাহের দাবিই কার্যত চূড়ান্ত হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আসন্ন এশিয়া কাপের আসর বসবে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই। আর মার্চেই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফে বিষয়টি অফিসিয়ালি জানিয়ে দেয়া হবে।
খবরে আরো বলা হয়, এশিয়া কাপের নিরপেক্ষ ভেন্যু নিয়ে শনিবারই আলোচনা হয়েছে পিসিবি এবং বিসিসিআই-এর। বাহরাইনে পিসিবির নাজম শেঠির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বিসিসিআইয়ের জয় শাহের। পূর্ব ঘোষণা মতো, এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। সব কিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানেই বসত এশিয়া কাপের আসর। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসেই টি-২০ বিশ্বকাপের সময়কালেই বিসিসিআইয়ের সেক্রেটারি জয় শাহ ঘোষণা করেছিলেন, পাকিস্তানে গিয়ে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমস আরো জানায়, এই মুহূর্তে এসিসির সভাপতিও জয় শাহই। ফলে তার দেয়া উপদেশেই শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হতে চলেছে, তা খুব স্বাভাবিক। আরব আমিরাতে রয়েছে তিনটি ভেন্যু। শারজা, আবুধাবি এবং দুবাইতে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন আগেও হয়েছে। ফলে নিরপেক্ষ ভেন্যুর দৌড়ে আমিরাতে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিল। পিসিবি চেয়ারম্যান নাজম শেঠির অনুরোধে এসিসির এমারজেন্ট কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন এসিসির সব সদস্য দেশের বোর্ড প্রধানরা। যেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে মার্চের আগে কোনো ঘোষণা করা হবে না। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, শুভমন গিলদের ছাড়া টুর্নামেন্ট হলে স্পন্সররা বেরিয়ে যেতে পারত। সেই কথা মাথাতে রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এসিসির এক সদস্য জানিয়েছেন, সবে মাত্র পিসিবির দায়িত্ব নিয়েছেন নাজম। তার পরেই মিটিংয়েই যদি ভেন্যু পরিবর্তনের কথা ঘোষণা হতো, তবে দেশে চাপের মুখে পড়তেন নাজম। সে কথা মাথাতে রেখেই মার্চে অফিসিয়ালি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি।
এই সভায় আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তা হলো এসিসির বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে আফগানিস্তানের জন্য। যা আগে ছিল মাত্র ৬ শতাংশ।