কুষ্টিয়ায় মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঔষধের প্যাকেট ও মেয়েদের ব্যবহৃত প্রশাধনী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩২ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার পৌর বাজারে এখন মাছের আশ(চৌচা) ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে শহরের পৌরবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে শত শত মন মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়। এসব মাছ সকাল ৭টা থেকে শহরের বিভিন্ন মোড়ে, ছোট ছোট বাজরগুলোতে হাতে কেটে আশ ছাড়িয়ে খুচরা বিক্রয় করা হয়। পড়ে থাকা এইসব আশ সংগ্রহ করে বিকাল ৩টা থেকে ওইসব আশ কুষ্টিয়া পৌর-বাজারের মাছের ব্যাবসয়ীদের কাছে থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন দুই জন ব্যবসায়ী।
মাছের আড়তদার দুই তিনজনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ১৫ টাকা কেজি দরে আমাদের কাছ থেকে আশ/চৌচা কিনে নিয়ে যায়। ইতিপূর্বে এই আশ ফেলে দিতাম, এখন কিছুদিন যাবত এই আশ বিক্রয় করছি। তারা বলেন কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে আবার বেশ কিছু অর্থও আসছে।
এক জন মাছের চৌচা ক্রয়কারী হাটশহরিপুর বোয়ালদহ গোপুর হাজী মোড়ের যুবক মোঃপিয়ার আলীর সাথে যায়যায়দিন প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, আমি বেশ কিছুদিন যাবত এই ব্যবসা করছি। প্রতিদিন ৩০/৪০ কেজি চৌচা ক্রয় করে বাড়িতে রোদে শুকায়। এরপর একবারে ৪/৫ মন জমা হলে সেগুলো ১শত টাকা কেজি দরে ঢাকাতে বিক্রয় করি। আমরা দুই জন এই ব্যবসা করি। আরেক জনের নাম অমিত কুষ্টিয়া কোর্ট পাড়ায় বাড়ি। তিনিও আমার মতো একইভাবে চৌচা ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।
এব্যাপারে পিয়ার আলীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই আশ যাদের কাছে বিক্রয় করেন তারা আশ দিয়ে কি তৈরি করেন। পিয়ার বলেন, তারা বলেছে আমরা মাছের চৌচা থেকে প্রায় ২০ রকমের পণ্য তৈরি করি। মেয়েদের ঠোঁটের লিপিষ্টিক, যেমন ঔষুধ ক্যাপস্যুলের কাভার ইত্যাদি তৈরী করে এবং বাংলাদেশ থেকে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।