avertisements 2

কুষ্টিয়ায় দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হবেন আনুশকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৩ এএম, ৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫০ এএম, ৬ মার্চ, বুধবার,২০২৪

Text

রাজধানীর কলাবাগানের বন্ধুর বাসায় গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে (১৭) কুষ্টিয়ার পিয়ার পুরের কমলাপুর ঈদগাহ ময়দানের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে দাদা-দাদির কবরের পাশে তিনি শায়িত হবেন। ইতিমধ্যে স্কুলছাত্রীর লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বাদ ফজর কমলাপুর ঈদগাহ ময়দান তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্কুলছাত্রীর বাবা মোহাম্মদ আলামিন।

এদিকে আনুশকা নূর আমিনের (১৭) মৃত্যুতে ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে যোনি ও পায়ুপথে আঘাত এবং রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা গেছে। বিকৃত যৌনচারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে আনুশকার।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ৭ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে ভিকটিমকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কৌশলে বাসায় নিয়ে যায় আসামি। এরপর সে ফাঁকা বাসায় ভিকটিমকে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় আসামির অমানবিক কার্যকলাপের কারণে ভিকটিমের যৌনাঙ্গ ফেটে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ রক্তক্ষরণ হয়। ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য তাকে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি সত্য বলে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া আসামি মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

জবানবন্দি রেকর্ড করার পর ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর আগে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ু পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, তার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে কেমিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2