উত্তাল আমিরাতে যুদ্ধ জাহাজ-বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইয়েমেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহত এবং মার্কিন সৈন্যদের একটি ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর উপসাগরীয় এই দেশটিতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। টেলিফোনে আলাপকালে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাতের নৌবাহিনীকে সহায়তার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন আবু ধাবির বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী রণতরী ইউএসএস কোল পাঠাবে। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বর্তমান হুমকি মোকাবিলায় আমিরাতকে সহায়তার অংশ হিসাবে দেশটিতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্তও আবু ধাবির প্রিন্সকে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন এর মাধ্যমে পরিষ্কার সতর্ক বার্তা দিতে চায় যে, দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে সোমবার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দিনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয় দেশটিতে। তবে আমিরাতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার পর ধ্বংস করেছে।
ইয়েমেনে সৌদি জোটের অন্যতম সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত লক্ষ্য করে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো হামলার দাবি করেছে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এক সপ্তাহ আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, আমিরাতের দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে তারা একাধিক প্যাট্রিয়ট মিসাইল ইন্টারসেপ্টর ছুড়েছে। হুথি বিদ্রোহীরা বলছে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উন্নয়ন করা হতে পারে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও সেই সময় জানিয়েছেন তিনি।
আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো শাসক শেখ মোহাম্মদকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে আগাম সতর্ক ব্যবস্থা সরবরাহ এবং আকাশ প্রতিরক্ষায় আমিরাতের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।