পাকিস্তানজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তুষারপাত-বৃষ্টিতে নিহত বেড়ে ৪২
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বছরের শুরুতেই পর পর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেসামাল পাকিস্তান। একদিকে তুষারপাত, কনকনে ঠান্ডা তো অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত। সবমিলিয়ে সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লাফিয়ে বাড়ে মৃতের সংখ্যা। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত তুষারপাতে আটকে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। রোববার সকালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ২২। তো অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু। সবমিলিয়ে নানা দুর্যোগের জেরে পাকিস্তান থেকে ৪২ জনের প্রাণহানির খবর মিলছে।
শনিবার থেকে পাকিস্তানের উত্তর প্রান্তে পর্বতচুড়োয় অবস্থিত শহর মুরিতে তুষারপাতের কারণে গাড়িতে আটকে পড়েন অনেকেই। পর্যটকদের হুড়োহুড়িতে শহরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। এদিকে প্রবল তুষারপাতের কারণে গাড়ি আটকে যায়। ফলে গাড়ি সরানো যায়নি। চরম ঠান্ডায় গাড়িতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাড়িতে আটকে থাকা পর্যটকদেক কম্বল এবং খাবার বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী দুদিন ওই শৈলশহরে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এদিকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অবস্থাও তথৈবচ। শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যার জেরে ইতিমধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম ১০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে পাঞ্জাব এবং বালোচিস্তান প্রদেশেও প্রবল বর্ষণ চলছে। সেখান থেকে ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গৃহহীন শতাধিক। স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার রাত পর্যন্ত চলবে এই তুষারপাত এবং বৃষ্টি। যার জেরে পাহাড়ি এলাকায় হড়পা বান বা মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেই মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনা, আধা সমারিক বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।