avertisements 2

মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই: আশ্রম প্রধান মহন্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২২ পিএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী (Mamata Banerjee Gangasagar) হিসেবে দেখতে চাইলেন প্রধান মহন্ত। কপিলমুনির আশ্রমে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে প্রধান মহন্ত বলেন, মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এতে দেশের কল্যাণ হবে। এখানে যা কাজ (Mamata Banerjee Gangasagar) হয়েছে, তা এতো বছরে কুম্ভমেলাতেও হয়নি। পুরোটাই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। গঙ্গাসাগর রাষ্ট্রীয় মেলা হওয়া উচিত। কেন্দ্র না চাইলে তা সম্ভব নয়।

প্রধান মহন্ত বলেন, বাংলায় মমতার নেতৃত্বে অনেক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। কপিলমুনির কাছে প্রার্থনা করছি, দিদি আরও এগিয়ে যাক। অনেকেই ভেবেছিলেন মমতা আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না। কিন্তু দিদি দেখিয়ে দিয়েছেন। অনেকে শুধুই মিথ্যা বলে, হাজার কথা বললেও কাজ করে না, দিদি কিন্তু যা বলেন, তাই করেন। অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে বেড়ান। দিদির ভরসা সেই কুঁড়ে ঘর আর হাওয়াই চটি। কারণ মমতা গরিবদের কথা ভাবেন। তাই তাদের টাকায় বিলাসিতা করেন না। 

প্রধান মহন্তকে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, আগে গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গা ছিল না। এখন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢেলে সাজানো হয়েছে কপিলমুনির আশ্রম। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। মেলায় করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। রাজ্য সরকার সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। কুম্ভমেলার অন্য অনেক টাকা খরচ করলেও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও টাকা দেয় না কেন্দ্র। প্রতি বছর ২০-৩০ লক্ষ মানুষ আসেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা আবার সব ঠিক করেছি।

সাগরের সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তাঁর দাবি, কুম্ভমেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গঙ্গাসাগরের আয়োজনে তা হয় না। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের জন্য টাকা দেয় না কেন্দ্র। আগে এখানে (পুণ্যার্থীদের জন্য) থাকার ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ মমতার প্রশ্ন, ‘‘কুম্ভমেলা যদি সুয়োরানি হয়, তবে গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি?’’

সাগরে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানের উদ্দেশে আসবেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তরা। শুরু হয়ে গেছে মেলার প্রস্তুতি। ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য ১০ হাজারের বেশি শৌচালয় তৈরি হচ্ছে। ১০৫০ সিসিটিভি ক্যামেরা, ২০টি ড্রোনও থাকছে। ৬০০ বেডের করোনা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরে থাকবে ৫টি সেফ হোম। ১১টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি রাখা হচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2