অবশেষে বৈঠকে বসছেন শি জিনপিং-বাইডেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা এমন খবর দিয়েছেন।
সম্পর্কের উত্তেজনার মধ্যেই যোগাযোগ বাড়াতে দুদেশের উচ্চ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। বুধবার মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ইয়া জিয়াচির মধ্যে সুইজারল্যান্ডের শহর জুরিখের একটি বিমানবন্দরের হোটেলে এই বৈঠক হয়েছে।
গেল মার্চে আলাস্কায় এক বৈঠকে দুদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে তিক্ত বচসার পর প্রথমবারের মতো চীন-মার্কিন দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মুখোমুখি হন।
গেল ৯ সেপ্টেম্বর শি জিনপিংকে ফোন দিয়েছেন জো বাইডেন। এরপরেই তারা ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন। এমন এক সময় দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, যখন বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্কের অচলাবস্থা চলছে।
হোয়াইট হাউস বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিতর্কিত কার্যক্রম, উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হংকং ও তাইওয়ানে বেইজিংয়ের পদক্ষেপের মতো বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন জ্যাক সুলিভান।
ছয় ঘণ্টার এই বৈঠক গঠনমূলক ছিল বলে দাবি করেছে বেইজিং-ওয়াশিংটন। এতে দুই কর্মকর্তা রাখঢাক না রেখেই কথা বলেছেন। তবে আলাস্কার বৈঠকের মতো তাদের আলোচনার সুর চড়া ছিল না।
সাংবাদিকদের মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে একটি দ্বিপাক্ষিক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের ব্যাপারে আমরা সম্মত হয়েছি।
অক্টোবরে ইতালিতে জি২০ সম্মেলনে প্রেসিডেন্টের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বছর মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে শি জিনপিং চীন থেকে বের হচ্ছেন না।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আজকের বৈঠক ছিল ব্যাপকভাবে অর্থবহ। এর আগে অধস্তন কর্মকর্তাদের বৈঠকের চেয়ে জ্যাক সুলিভান ও ইয়া জিয়াচির বৈঠক ছিল বাস্তবিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। পরবর্তী বৈঠকের জন্য ‘আদর্শ’ হিসেবে নেওয়া যাবে এই আলোচনাকে।
তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্থিতিশীল অবস্থা দেখতে চাই আমরা। আমরা চাই, দুদেশের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে, তবে সেই প্রতিযোগিতা হবে দায়িত্বশীল।