নবজাতকের শরীরে ১২ সেঃমিঃ লম্বা লেজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১১ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
এবার সত্যি সত্যিই বড়সড় লেজ নিয়ে জন্ম নিলো একটি শিশু। ১২ সেন্টিমিটার লম্বা সে লেজের মাথায় দেখা গেছে বলের মতো গোলাকার পিণ্ড।
এ ঘটনাকে লেজ নিয়ে মানবশিশুর জন্মের বিরলতম ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। নথি-পত্র ঘেঁটে এ পর্যন্ত এমন ৪০টি ঘটনার কথা জানা যায়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেডিয়াট্রিক কেস রিপোর্টস নামে একটি জার্নালে বলা হয়েছে, এবার ব্রাজিলে আক্ষরিক অর্থেই শরীরে লেজ নিয়ে জন্মেছে এক শিশু।
এতে বলা হয়েছে, শিশুটি অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়। তবে এর জন্য শিশুটির শরীরে কোনো জটিলতা ছিল না। তবে শিশুটির কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি ওই জার্নালে।
চিকিৎসকরা জানান, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুটির শরীরে জন্ডিসের লক্ষণ পাওয়া যায়। শিশুটির শরীরে বাঁ পাশে মাজার নিচ থেকে অবিকল লেজের মতো কিছু একটা নেমে গেছে যেটা লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার। আর ওই অংশটির সাথে জোড়া লাগানো আছে গোলাকার আরেকটি অংশ, যার সর্বোচ্চ ব্যাস ৪ সেন্টিমিটার।
আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করে শিশুটির শরীরে অন্য কোনো সমস্যা বা ব্যতিক্রমী কিছু আর পাওয়া যায়নি। তাই চিকিৎসকরা কোনো জটিলতা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির শরীর থেকে লেজটি ফেলে দিয়েছেন। এই ধরনের লেজে কখনও কখনও মাসল টিস্যুও থাকে।
প্রসঙ্গত, মানবশরীরে কখনও যদি লেজের মতো কোনো অঙ্গ দেখা যায়, তবে সেটিকে দুভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এর একটিকে বলা হয় ট্রু টেল আর অন্যটি হলো সিউডো টেল।
এরমধ্যে সিউডো টেল হলো মূলত শরীরের একটি বর্ধিত অংশ যেটা মূলত অ্যাডিপোজ ও কার্টিলাগিনাউস টিস্যু দিয়ে তৈরি, আর এ ধরনের লেজে হাড়ের কিছু উপাদান বিদ্যমান থাকে।
আর ট্রু হিউম্যান টেল বা সত্যিকারের লেজ বলতে আসলে ভ্রুণের লেজের কথা বলা হয়, স্বাভাবিক অবস্থায় যেটা শিশুর জন্মের আগ পর্যন্ত থাকে। সাধারণত ভ্রুণের বয়স যখন চার সপ্তাহ হয়, তখন ভ্রূণে ছোট্ট একটি লেজ তৈরি হয়।
তবে ভ্রুণের বয়স যখন ১২ সপ্তাহ মতো হয় তখন শ্বেত রক্ত কণিকায় এই লেজটা শোষিত হয়। বিরল কিছু ক্ষেত্রে, এ শিশুটার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে, শ্বেত রক্ত কণিকায় লেজটার কিছু হয় না এবং ভ্রূণ পরিণত হতে থাকলেও লেজটা তার সঙ্গেই থেকে যায়। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৪০টি এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন।