পিছু হটছে আর্মেনিয়া, এবার যুদ্ধবিরতি চায়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৩ এএম, ৩ অক্টোবর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:০৪ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
দক্ষিণ ককেশাসের নাগার্নো- কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রোববার থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবার আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। গত ছয় দিন ধরে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের পর আর্মেনিয়া এ প্রস্তাব দিল।
আর্মেনিয়া অন্তর্জাতিক মধ্যস্ততাকারীদের মাধ্যমে বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজানের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চায়। যদিও এর আগে রাশিয়ার যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল দেশটি।
শুক্রবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমেরিকাকে সাথে নিয়ে পুনরায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তিনি আরো বলেন, যে কোন মূল্যে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে এ আগ্রাসনের কঠিন জবাব দেওয়া হবে। নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আরো ৫৪ আর্মেনিয় সেনা নিহত হওয়ার পর এ আলো্চনার প্রস্তাব আসে। এ নিয়ে সর্বোমোট ১৫৮ জন আর্মেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
এর আগে ইরেভান ও বাকুর নেতারা রাশিয়া ও পশ্চিমা নেতাদের যুদ্ধ বন্ধের কোন প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। এদিকে আর্মেনিয়ার গোলাবর্ষণে ১৯ জন বেসামরিক লোক মারা গেলেও এখনো কোনো সেনা নিহতের সংবাদ দেয়নি আজারবাইজান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের শংকা সৃষ্টি হয়েছে। যে সংঘাতে দুই আঞ্চলিক শক্তি রাশিয়া এবং তুরস্কেরও জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, আন্তর্জাতিকভাবে তুরস্ক আজারবাইজানের প্রধান মিত্র আর আর্মেনিয়ার প্রধান মিত্র রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে দেশটিতে।
অপরদিকে আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছে, তুরস্ক এ সংঘাতের মধ্যে আজারবাইজানের পক্ষে যোদ্ধা সরবারহ করছে । যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুরস্ক ও আজারবাইজান ।
ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, তুরস্ক আজারবাইজানে প্রায় ৩০০ সিরিয় পাঠিয়েছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে। এর মাধ্যমে তুরস্ক সকল সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যাও দাবি করেছেন। ম্যাক্রো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে এ বিষয়টি তুলে বলেন, ন্যাটো সহযোগিদের ন্যাটো সদস্যদের মত আচরণ করা উচিৎ।
গত বৃহস্পতিবার পুতিন, ট্রাম্প ও ম্যাক্রো এক যৌথ ঘোষণায়, নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলতে এ সংঘাত সমাধানে উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে বলেন।
এদিকে রাশিয়া সংঘাত থামাতে তুরস্কের সাথে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভরভ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুর সাথে যৌথ ঘোষণায় বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে তারা সমন্বিতভাবে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের হলেও আর্মেনিয়া অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দখলে রেখেছে।