avertisements 2

মোবাইলে গল্পে মশগুল স্বাস্থ্যকর্মী এক ব্যক্তিকেই দিলেন ৩ ডোজ টিকা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

প্রয়োজনের তুলনায় মিলছে কম, রাজ্যজুড়ে করোনার টিকা নিয়ে হুলস্থূল কাণ্ড। তার মধ্যেই এক ব্যক্তির শরীরে দেয়া হলো টিকার তিন ডোজ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটায়।

মোবাইলে গল্পে ব্যস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর আসাবধানতার জেরেই এই কাণ্ড বলে অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত ডোজ নিয়ে অসুস্থ ওই ব্যক্তি আপাতত ভর্তি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।যদিও স্বাস্থ্যকর্মীর অসাবধানতার অভিযোগ মানতে নারাজ নাগারাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

শুক্রবার নাগরাকাটা ব্লকের খয়েরকাটা বোর্ড স্কুলে চলছিল টিকাদানের কাজ। সেখানেই একটি, দুটি নয়। একেবারে তিন ডোজ টিকা দেয়া হয় পরিতোষ রায়কে। এরপরই অসুস্থ বোধ করেন উত্তর ধন্ডলাশিমলা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় মিস্ত্রি পরিতোষ। তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ধূমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে রেফার করা হয় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

পরিতোষ রায় বলেন, ‘যিনি ভ্যক্সিন দিচ্ছিলেন, সেই সময় তিনি মোবাইলে গল্পে মশগুল ছিলেন। কথা বলতে বলতেই আমাকে পরপর তিনবার ভ্যাক্সিন দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী।’

কেন তিনটি ডোজ দেয়া হল? পরিতোষের এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি অভিযুক্ত। শুধু তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয় বলে দাবি ওই অসুস্থ ব্যক্তির।

যদিও স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাগারাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সুপর্ণা কান্তি হালদার। ফোনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। এই ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য নয়। গতকাল ৪ হাজার ৬২০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। কোনো অভিযোগ আসেনি। তাহলে আজ কেন ভুল হবে?’

এই প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, ‘পরিতোষ রায় সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন। কোনো ভাবেই এক ব্যক্তিকে তিন বার ভ্যাকসিন দেয়া যায় না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2