avertisements 2

আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে বাইডেনের পদত্যাগ চাইলেন ট্রাম্প

আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে বাইডেনের পদত্যাগ চাইলেন ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্ষমতা ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেনের কারণে মার্কিন বাহিনীকে শূন্য হাতে আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছে। তিনি ক্ষমতায় থাকলে দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার আরও সফলতার সঙ্গে হতো।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, এক বিবৃতিতে রোববার (১৫ আগস্ট) বাইডেনের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন- ‘আফগানিস্তানে যা ঘটতে দিয়েছেন, তাতে অপমানবোধ থেকে তার (বাইডেন) পদত্যাগ করা উচিত।’


ট্রাম্পের আমলে সেনাপ্রত্যাহার করতে আফগান তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল ওই সময়। তবে বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাপ্রত্যাহার পুরোপুরি শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করেন।

তারপরই শুরু হয় প্রত্যাহার কার্যক্রম। আর তখন থেকেই তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় রোববার কাবুলে প্রবেশ করে তালেবান যোদ্ধারা। এ সময় আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা হন। এর পরপরই আফগানিস্তানের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করে তালেবান বাহিনী।

এখন আফগান সরকার একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে শোনা যাচ্ছে। সে বিষয়ে তালেবান ও সরকারের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক আলী আহমাদ জালালির নাম শোনা যাচ্ছে।

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন রোববার বিবিসিকে বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে বলে তারা আশা করছেন। কাবুলের জনগণের জানমাল নিরাপদ রাখা এবং নারীদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী ও কূটনীতিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন তিনি।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ হামলার পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আফগানিস্তানে অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী। এরপর দুই দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী এবং পরে তাদের সহায়তায় গড়ে ওঠা আফগান সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের যুদ্ধ চলে আসছিল। গত ১ মে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর থেকে তালেবানের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।

তবে এত দ্রুত কাবুলের পতন হবে— এমনটা হয়তো ভাবতে পারেননি কেউ। বিশেষত, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত আফগান বাহিনীর মনোবল তালেবানের সামনে এভাবে ভেঙে পড়বে, এটা চিন্তার বাইরে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2