করোনার ভ্যাকসিন দিলে মানুষ কুমির হয়ে যেতে পারে: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:০৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৪৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনা ভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। এবার তিনি দাবি করেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, সেটি শরীরে দিলে মানুষ কুমিরে পরিণত হতে পারে বা নারীদের দাড়ি গজাতে পারে!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনটিভি জানায়, কট্টর ডানপন্থি এ নেতা শুরু থেকেই বলে আসছেন, ‘কোভিড সামান্য ফ্লু!’ এ সপ্তাহে তিনি বলেই ফেললেন, যদিও দেশজুড়ে ভ্যাকসিনটি দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে, তিনি নিজে ভ্যাকসিনটি দেবেন না।
বলসোনারো বলেন, ‘ফাইজারের চুক্তিতে স্পষ্টাভাবে বলা আছে: আমরা ভ্যাকসিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী নই, এটি আপনাদের সমস্যা। ’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রাজিলে ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের কথা উল্লেখ করে বলসোনারো বলেন, ‘আপনি যদি সুপারম্যান হয়ে যান, কোনো নারীর যদি দাড়ি গজাতে শুরু করে বা কোনো পুরুষ যদি মেয়েলি কণ্ঠে কথা বলতে শুরু করেন, তারা এর দায়িত্ব নেবে না। ’
বলসোনারো বলেছেন, ভ্যাকসিনটি বিনামূল্যে দেওয়া হবে কিন্তু দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট এক রুল জারি করেছেন, ভ্যাকসিনটি বাধ্যতামূলক হলেও কাউকে জোর করা হবে না।
অর্থাৎ কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন না দিলে কাউকে জরিমানা করতে পারবে এবং বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে, কিন্তু ভ্যাকসিনটি দিতে তাদের জোর করতে পারবে না।
ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ৭১ লাখ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং প্রায় ১ লাখ ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বলসোনারো নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেরে উঠেছেন।
ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনভিসা অনুমোদন দিলে ভ্যাকসিনটি সবার জন্য সহজলভ্য করা হবে জানিয়ে, তিনি বলেন, ‘তবে আমি ভ্যাকসিন দেবো না। আমি আক্রান্ত হয়েছিলাম, আমার শরীরে অ্যান্টিবডি আছে। ’