হুমকি দিয়ে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা যাবে না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ মার্চ,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ১১:২১ পিএম, ১০ মার্চ,সোমবার,২০২৫

হুমকি দিয়ে ইরানকে আলোচনায় বসানো যাবে না জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
গত শনিবার (৮ মার্চ) ইফরের আগে সরকারের তিন বিভাগের প্রধানসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ এই নেতা বলেন, কিছু দাম্ভিক সরকার আলোচনায় বসার জন্য যে চাপাচাপি করছে তার উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান করা নয়; বরং তারা তাদের নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে চায়।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, ইরান তাদের ইচ্ছাপূরণ করতে দেবে না।
তিনি ভাষণের অন্য অংশে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নির্লজ্জ অভিযোগ উত্থাপন করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ইরান তার পরমাণু প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করেনি বলে তারা যে দাবি করে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, তারা বলে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না। তাহলে তারা কি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে? তারা তো শুরু থেকেই তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
এদিকে কাতার জানিয়েছে, ইরানের পরমাণু অস্ত্রে হামলা হলে তা আঞ্চলিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আলে সানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমেরিকা বা ইসরাইল যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায় তাহলে মাত্র তিন দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়বে।
তিনি মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, হামলা হলে পানিতে এত উচ্চ মাত্রার দূষণ হবে যে, তার ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেবে।
সূত্র: পার্স টুডে