২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সরকার গঠন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:৩২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অবশেষে পাকিস্তানে সরকার গঠন প্রক্রিয়া শেষ হতে চলেছে। আগামী ২৭ অথবা ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন সরকার শপথ নিতে পারে। পাকিস্তানে নতুন জোট সরকারের চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা কামার জামান কায়রা দেশটির টিভি চ্যানেলে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন জোট সরকারের চূড়ান্ত ঘোষণা হতে পারে। খবর-ডন
জিও নিউজের অনুষ্ঠানে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ২৯ ফ্রেব্রুয়ারি হতে হবে। এখনও অনেক দিন বাকি আছে। এর আগেই ২৭ বা ২৮ তারিখে নতুন জোট সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, নতুন জোট সরকারকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে তা নির্ধারণ করছে পিপিপি ও পিএমএল-এন। বিষয়ে কামার জামান বলেন, জোট সরকারের দুই দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারটি মিটিং হয়েছে। তবে কোন দল কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবে তা আলোচনার এজেন্ডায় ছিল না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনের দিকে হাঁটছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। নির্বাচনে ৫৪ আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) কিছু শর্তে জোট সরকার গঠন করতে চায় ৭৫টি আসনে বিজয়ী দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) সঙ্গে। শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নতুন জোট সরকারে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও দিতে হবে পিপিপিকে। পিএমএল-এনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবির কথা জানিয়েছেন বিলাওয়াল ভুট্টোর বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।
পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট গঠন চূড়ান্ত হলে সরকার গঠন না করে বিরোধী দল হিসেবে থাকতে হতে পারে আসন সংখ্যায় প্রথম অবস্থানে থাকা ইমরানের দল পিটিআইকে। এক্ষেত্রে ক্ষমতার মসনদ অধরাই থাকছে ইমরানের।
শাহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, জারদারির দাবি অনুযায়ী বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করা হলে কেন্দ্রের পাশাপাশি পাঞ্জাবেও পিএমএল–এনকে সমর্থন দেবে পিপিপি। এর বিনিময়ে নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে পিএমএল–এন চাইছে, নতুন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন শাহবাজ শরীফ।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেওয়া দেয় নির্বাচন কমিশন। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।