স্বামীর হাতে ভয়ানকভাবে খুন হন নায়িকা শিমু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩০ এএম, ২২ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৫
ছবি সংগৃহীত
ঢাকার গ্রীনরোডে নিজের বাসায় খুন হন চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু। তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। নোবেলের নির্দেশে ফরহাদ তাকে হত্যায় সহযোগিতা করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘শিমুকে ধর, ওকে আজ মেরেই ফেলব’- বন্ধু ফরহাদকে এই নির্দেশ দেন নোবেল। তার কথামতো শিমুকে ধরতে গেলে ফরহাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিমু। এরপর শিমুর গলা ধরতে যান নোবেল। শিমু তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। পরবর্তীতে তারা দুজন (নোবেল, ফরহাদ) একসঙ্গে শিমুর ওপর চড়াও হন। ফরহাদ শিমুর গলা চেপে ধরেন আর নোবেল ধরেন দুই হাত। ফ্লোরে পরে যান শিমু। স্ত্রীর (শিমু) গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল। একপর্যায়ে প্রস্রাব হয়ে যায় শিমুর এবং ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নায়িকা শিমু হত্যার ঘটনায় স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সেই অভিযোগপত্রে ওঠে এসেছে এসব ভয়ানক তথ্য।
শিমু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। অভিযোগপত্রের বিষয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে আদালতে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) তার লাশ নেয়া হয়। সেখানেই শিমুর স্বামী ও ফরহাদ গেলে তাদের আটক করে র্যাব।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনায় করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।