avertisements 2

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ৮ দিনের রিমান্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:৫৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

আদালতে জিয়াউল আহসান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে জিয়াউল আহসানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। আদালতে জিয়াউল আহসানের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জিয়াউল আহসানকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সরকার পতনের অপেক্ষা, অবশেষে বিয়ে করলেন ছাত্রদল নেতা

এরও আগে সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি খুদে বার্তায় জিয়াউল আহসানকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। বলা হয়, নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আদালতে শুনানির এক পর্যায়ে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আমাকে ৭ আগস্ট বাসা থেকে নিয়ে গেছে। আমি আয়নাঘরে ছিলাম। আমি কোনো আয়নাঘর বানাইনি। আমার হার্টের ৭০ ভাগ ব্লকড। আমাকে স্বেচ্ছায় অবসর দেয়া হয়েছে। আমি কখনো ধানমন্ডিতে যাইনি। এনটিএমসি কেবল ডিজিটালি গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে। আমার নামে আগে কখনো মামলা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ব্যক্তি আয়নাঘর থেকে বের হয়ে আসছে, তাদের কেউ বলুক আমি তাদের সেখানে রেখেছি। যেভাবে আমাকে নিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থ। আমার হার্টে ৭৫ শতাংশ ব্লক ধরা পড়েছে। এ ছাড়া শারীরিক অন্যান্য সমস্যাও রয়েছে।’

প্যাগাসাস সফটওয়্যারের বিষয়ে আদালত জানতে চাইলে জিয়াউল আহসান বলেন, ‘প্যাগাসাস বলে কিছু নেই। আমি মোবাইল ট্র্যাকিং করিনি। আমি নির্দোষ।’

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা আদালতে এসব কথা বলার সময় বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। তারা বলেন, তিনি গণহত্যার আসামি। তার কথা বলার অধিকার নেই।

জিয়াউল আহসানের বোন ও আইনজীবী নাজমুন নাহার আদালতকে বলেন, তার মক্কেল কখনও ডিজিএফআইয়ে কর্মরত ছিলেন না। তিনি ‘আয়নাঘর’ (গোপন বন্দিশালা) বানাননি। ফেসবুকে তাকে নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে। গত ৭ আগস্ট বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

অপরদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ খান আদালতকে বলেন, এই জিয়াউল আহসান গুম-খুনের নায়ক। তিনি ‘জেনোসাইড’ এর সঙ্গে যুক্ত। ‘আয়নাঘর’ এর জনকও তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার ক্রীড়ানক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত। সদ্য সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা ২০১২ সালের পর থেকে এক যুগ ধরে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে অপহরণ ও গুমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এর আগে গ্রেপ্তার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দুজনেরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর গত মঙ্গলবার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2