avertisements 2

ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে সাব-রেজিস্ট্রারকে উকিল নোটিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৩৬ এএম, ১৫ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

ছবি : সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সাব-রেজিষ্টারকে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরৎ চেয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছে এক ভুক্তভোগী। ৭ লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়ার পরও তার দলিল নাম্বার পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

দলিল দাতা ও গ্রহীতা এবং উকিল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পুখুরিয়া শিয়ালকোল মৌজায় মৃত মো. হায়দার আলী খানের ৫৪ শতাংশ জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পান তার স্ত্রী মাজেদা বেগম এবং একমাত্র কন্যা তানিয়া সুলতানা। এ সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য তানিয়ার স্বামী মো. আব্দুল বারী মিয়ার নামে পাওয়ার অব এটর্নি দলিল করতে আসেন ভূঞাপুর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে।

গত ৩০ এপ্রিল সম্পাদিত পাওয়ার অব এটর্নি দলিল করার জন্য সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দাখিল করেন। কাগজপত্রে জটিলতার কথা বলে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন সাব রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রাণী দেবনাথ। পরে ৭ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে দলিল করতে রাজি হন তিনি। সে মোতাবেক ঘুষের ৭ লক্ষ টাকা বুঝে নিয়ে সাব রেজিস্ট্রার কমিশনের মাধ্যমে দলিল করার পরামর্শ দেন। সে মোতাবেক গত ৩ মে সকালে সাব রেজিস্ট্রার অফিস সহকারি জুয়েলকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে দলিল গ্রহীতার নিজ বাসা পৌর এলাকার ঘাটান্দি মৌজার নাইমা মঞ্জিলে পাঠান সাব রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রাণী দেবনাথ। বাসায় সম্পাদিত দলিলে মোট জমির পশ্চিম দিক থেকে ৫৪ শতাংশ জমির দলিল সম্পাদন করে বালাম বই, দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্রে দাতা ও গ্রহীতাগণের টিপসহি ও স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে একই সম্পত্তির অন্যান্য অংশিদাররা বাকি জমি বিক্রি করেন খাইরুল ইসলাম গংদের কাছে। তারা দলিল দাখিল করতে গিয়ে জানতে পারে এই সম্পত্তির পশ্চিমাংশ থেকে আগে দলিল হয়ে গেছে। পরে খাইরুল ইসলাম গংরা জমির পশ্চিমাংশ পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেন সাব রেজিস্ট্রারের কাছে। সাব রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রাণী দেবনাথ গত ৩ মে গ্রহীতা মো. আব্দুল বারী মিয়ার কমিশনকৃত ১৪৩০ নং পাওয়ার অব এটনি দলিল বাতিল দেখিয়ে গত ৭ মে নিয়মিত দলিলে অন্তর্ভূক্ত করেন এবং ১৪৩০ নং দলিলের নাম্বার কেটে নতুন সিরিয়াল নাম্বার দেন ১৪৩১। অপর দিকে বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে খাইরুল ইসলাম গংদের ১৪৩১ নং নিয়মিত দলিলের নাম্বার কেটে নতুন সিরিয়াল নাম্বার দেন ১৪৩০।

বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথম দলিল গ্রহীতা আব্দুল বারী মিয়া তার দেওয়া ঘুষের ৭ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় গত ১৬ মে ঘুষের টাকা ফেরৎ চেয়ে উকিল নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয়েছে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ঘুষের টাকা ফেরত না দিলে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রচলিত আইনে মামলা করা হবে সাব রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রাণী দেবনাথের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুরের সাব-রেজিস্ট্রার অঞ্জনা রাণী দেবনাথ মোবাইলে বলেন, আমি কোনো উকিল নোটিশ পাইনি এবং কোনো ঘুষ গ্রহণ করিনি।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2