করোনার ‘অলৌকিক ওষুধ’ বিক্রি: অস্ট্রেলিয়ার এক গির্জার কর্তৃপক্ষকে দেড় লাখ ডলার জরিমানা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মে,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:০৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সাধারণ ‘ব্লিচকে’ করোনামুক্তির ‘অলৌকিক ওষুধ’ বিক্রি করার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ার এক গির্জা কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ ৫১ হাজার ২০০ ডলার জরিমানা করল দেশের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (টিজিএ)। অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের থাবা খুব একটা বিস্তৃত হয়নি। তবুও মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
আর সেই সুযোগেই জেনেসিস ২ চার্চ অফ হেলথ অ্যান্ড হিলিংয়ের পক্ষ থেকে গত কিছুদিন ধরেই মিরাকল মিনারেল সলিউশন (এমএমএস) নামে একটি পণ্যকে ‘অলৌকিক’ ওষুধ হিসেবে প্রচার চালানো হচ্ছিল। গির্জা কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘অ্যালঝাইমার থেকে ম্যালেরিয়া, সব রোগের নিরাময় করতে পারে ‘এমএমএস’। করোনামুক্তিও ঘটবে।’
গির্জা কর্তৃপক্ষের কথায় বিশ্বাস করে বহু মানুষ সরল বিশ্বাসে ওই ওষুধ কিনেও নেন। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নড়েচড়ে বসে থেরাপেটিক গুডস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন (টিজিএ)। গির্জা কর্তৃপক্ষের কাছে অলৌকিক ওষুধের বৈজ্ঞানিকভিত্তি জানতে চায়। কিন্তু কোনও সদুত্তর না মেলায় জরিমানা করা হয়। টিজিএ’র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গির্জা কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে, তার কারণ, ’মিরাকল মিনারেল সলিউশন’ নামে যে পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে তাতে উচ্চ ঘনত্বের সোডিয়াম ক্লোরাইট রয়েছে।
মূলত টেক্সটাইল ব্লিচিং এজেন্ট হিসাবে এই রাসায়নিকটি ব্যবহার করা হয়। ওই রাসায়নিক মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে। তাছাড়া মিরাকল মিনারেলের কোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রমাণ নেই। বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃতও নয়। এই রাসায়নিক পানে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং মারাত্মক ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। মিরাকল মিনারেল বিক্রিতে জড়িত চার্চটি মূলত মার্কিন বেজড জেনেসিস ২ চার্চ অফ হেলথ অ্যান্ড হিলিংয়ের একটি শাখা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগের আদেশের অধীনে এটি ব্লিচ প্রোডাক্ট ক্লোরিন ডাই অক্সাইডযুক্ত মিনারেল বিক্রি করতে পারে না।