avertisements 2

মুসলিম-খ্রিস্টান মিলে অস্ট্রেলিয়ায় বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ জানুয়ারী,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৪৮ পিএম, ৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

"চারিদিকে শুধু দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। যেগুলো সব প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ৬ রাজ্যের তিন রাজ্য আগুনে পুড়ে ছাই। ৫০ কোটি বন্য প্রাণী আগুনে পুড়ে মারা গেছে। এবার চতুর্থ রাজ্যেও আগুন লেগেছে। ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, এবং পশুসম্পদ ও দেশীয় বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

এমন অবস্থায় দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দাবানল নিয়ন্ত্রণে ৩ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য এক মাঠে সমবেত হয়ে প্রার্থনা করলেন খ্রিস্টান ও মুসলিমরা।

খ্রিস্টান ও মুসলিমরা একত্রে একই মাঠে প্রার্থনা করলেন ভয়ঙ্কর এই দাবালণ পরিস্থিতি থেকে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। এই প্রার্থনায় যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০ জনের বেশি মুসলিম নারী পুরুষ ও শিশু। রবিবার অ্যাডিলেডের বনিথন পার্কে প্রিস্ট প্যাট্রিক ম্যাকইনার্নি নামাজের জন্য উপাসকদের সঙ্গে যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ার এই মুসলিমগণ। সবাই একসঙ্গে প্রার্থনা করেন বৃষ্টির জন্য। এছাড়া প্রার্থনায় দাবানলে ক্ষত্রিস্তদের জন্য ও প্রার্থনা করা হয়।

একজন বলেন ‘আমার বন্ধু, অধ্যাপক মোহামাদ আবুদাল্লা ঈশ্বরের প্রতি অনুতাপ ও ​নির্ভরতা জানাতে  খুতবা পাঠ করেন।’ এছাড়াও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার স্টিভেন মার্শাল জানিয়েছেন, মৃত্যু খবরগুলো সত্যিই দুঃখজনক সংবাদ। আমরা সেইসব পরিবারগুলির প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি যারা এই দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখন ক্যাঙ্গারু দ্বীপে খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতি।

ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে আগুন জ্বলছিল তবে শুক্রবার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে আগুনের তাপমাত্রা। বাতাসের কারণে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে গেছে। আর এ কারণেই পুরো দ্বীপটি হয় জরুরি অবস্থার সতর্কতা জানি করা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ স্থান হিসেবে পূর্ব উপকূলে কেবলজিংকোট এবং পেনেসা শহরগুলিতে সরিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছে ওয়াচ অ্যাক্ট। সূত্র: আলজাজিরা, মেইল অনলাইন"

 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2