avertisements 2

সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৩৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

দিনকয়েক আগে করোনাভাইরাসের একটি প্রাদুর্ভাব শনাক্তের পর সংক্রমণের বিস্তৃতি রুখতে ছয়দিনের একটি লকডাউন পর্বে প্রবেশ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য সাউথ অস্ট্রেলিয়া। 

সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ছয় দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অ্যাডিলেডে সংক্রমণ বেশি দেখা দেওয়ার পরেই কর্তৃপক্ষ বুধবার এ ঘোষণা  দিয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাত থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে সবাইকে বাড়ি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্ধ হচ্ছে স্কুল,রেস্টুরেন্ট ও ফ্যাক্টরি। দেশের বাইরে থেকে আসা ভ্রমণকারীদের কাজে ব্যবহৃত হোটেলে সংক্রমণ বেশি দেখা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রধান স্টিভেন মার্শাল বলেন, আমরা আগেভাগেই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি যেনো পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যায়। পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয় তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করতে পারিনা।   
ছয় মাস পর রোববার অ্যাডিলেইডে স্থানীয় পর্যায়ে প্রথম এক রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে

 

 

দক্ষিণের এ রাজ্যটিতে ছয়দিনের ‘আপাত বিরতি’ শেষে পরের ৮ দিন তুলনামূলক কম বিধিনিষেধ থাকবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

‘সার্কিট ব্রেকার’ লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পর টয়লেট পেপার এবং নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিভিন্ন সুপারমার্কেটের সামনে লোকেদের লম্বা সারির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদেরকে আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে সুপারমার্কেট ও ফার্মেসি খোলা থাকবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।

হুট করে দেওয়া দ্বিতীয় এ লকডাউন মেনে চলতে রাজ্যের বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার স্টিফেন মার্শাল। 

“এর (সংক্রমণ) চেয়ে এগিয়ে থাকার জন্য আমাদের সার্কিট ব্রেকার দরকার। বয়স্ক ও দুর্বলদের পাশাপাশি আমাদের সমগ্র এলাকার সুরক্ষায় শনাক্ত রোগীদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তা চিহ্নিত করতে আমাদের শ্বাস নেওয়ার জায়গা দরকার,” বলেছেন তিনি। 

রাজ্যের সাড়ে ৯ হাজার জনকে পরীক্ষা করে দুইজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তের কথা বুধবার জানিয়েছে সাউথ অস্ট্রেলিয়া। এই সংখ্যাকে ‘ছোট কিন্তু মারাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা।

 

ছোট প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এর আগেও অস্ট্রেলিয়াকে আগ্রাসী সব পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য অর্থনীতির নানান খাত বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছিল।


পাশের রাজ্য ভিক্টোরিয়া সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে পরাভূত করার কয়েক সপ্তাহ পর সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে এ লকডাউন পর্বে প্রবেশ করতে হচ্ছে।

সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা যেন ঢুকতে না পারে তা নিশ্চিত করতে পাশের রাজ্যগুলির বেশিরভাগই তাদের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে।

বিষয়: লকডাউন

আরও পড়ুন

avertisements 2