avertisements 2

গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা না দিয়ে আবারো ব্যবসায় ইভ্যালি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা না দিয়ে আবরো ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। রোববার প্রতিষ্ঠানটি ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ফেরার ঘোষণা দেয়া হয়।

যদিও ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের সময়ে পরিচালিত কর্মকাণ্ড অডিট করে ৪৭ হাজার কোটি টাকার হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিদায়ী বোর্ড প্রধান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি জানান, বোর্ড যে অডিট করিয়েছে তার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ইভ্যালির প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার কোন হদিস নেই। এই টাকা মোহাম্মদ রাসেলের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের সময় ব্যাংক হিসাব থেকে চলে গেছে, যা আর উদ্ধার করা যায়নি। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তখন ইভ্যালির দেনা ছিলো ৫৪৩ কোটি টাকা।

তবে ইভ্যালির কাছে আগের গ্রাহকদের যে অর্থ এখনো আটকে আছে - সেটি তারা কতটা কিভাবে পাবেন কিংবা যাদের অর্ডার আটকে ছিলো তারা কিভাবে সেটি পাবেন কোন পক্ষই সেটি পরিষ্কার করে বলতে পারছে না।

হাইকোর্ট নিযুক্ত ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এটা স্পষ্ট যে ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্য অসৎ ছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান ও মালিকরা গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়েছে এবং ইভ্যালিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীদের অর্থ ব্যয় করেছে। ইভ্যালির ব্যবসায়িক লেনদেন বিবেচনা করার সময় এটি প্রকাশ করে যে কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যেকোনো কৌশলে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয়া। অর্থাৎ, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা।

গ্রাহক ঠকানোর মামলায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল এখনো জেলে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান, যিনি একই মামলায় জেল খেটে গত এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

গত ২৪ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করার বিষয়ে নতুন বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তার মা ও বোনের স্বামীকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে শামীমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তার মা ফরিদা তালুকদার ও ভগ্নিপতি মামুনুর রশীদ। এছাড়া ই-ক্যাব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে প্রতিনিধি স্বাধীন পরিচালক হিসেবে ইভ্যালির পর্ষদে যোগ দিয়েছেন।

২২ সেপ্টেম্বরের বোর্ডসভায় শামীমা নাসরিন, তার মা ও বোনের স্বামী ইভ্যালি পরিচালনার বোর্ড সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তের আগেই গত ২১ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। উল্লেখ্য, পাওনা টাকা কিংবা পণ্যের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভের জের ধরে গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছিলো বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2