আরও একটি নতুন ব্যাংক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৫৫ এএম, ১১ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪৭ এএম, ১৪ মার্চ,শুক্রবার,২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছে নতুন একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। গতকাল সোমবার অনুমোদন পাওয়া এই ব্যাংকটিসহ বর্তমানে মোট বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি।
নতুন ব্যাংকটির নাম সিটিজেন ব্যাংক। গত দুই বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় বেসরকারি ব্যাংক এটি। অপর দুটি হচ্ছে- কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।
দেশের অর্থনীতির অবয়ব বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, নতুন ব্যাংক অনুমোদনের সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংকিং খাতে আরও চাপ তৈরি হবে।
সিটিজেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান তৌফিকা আফতাব। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক বোর্ডের পরিচালক একেএম আফতাব উল ইসলামের স্ত্রী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ জাতীয় উদাহরণ নৈতিক ভিত্তিতে সমর্থনযোগ্য না। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালকরাই নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেন।’
তিনি অবশ্য বলেন, এ ব্যাপারে আইনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
যোগাযোগ করা হলে আফতাব উল ইসলাম জানান, কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের ব্যাপারে তিনি সচেতন ছিলেন। তাই গতকাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার সময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক বোর্ডের সভা থেকে বের হয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘বোর্ডের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। ফলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তৈরি হয়নি।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন জানান, দেশের ব্যাংকিং খাতে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
নতুন ব্যাংক অনুমোদনের প্রক্রিয়াটি তারই ধারাবাহিতার একটি অংশ বলে তিনি মনে করেন।
নতুন এই ব্যাংকটি এমন এক সময়ে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে, যখন সুশাসনের অভাবে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত ঋণ কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, দেশের অর্থনীতির অবয়বের চেয়ে ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইতোমধ্যেই সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে বিদ্যমান ব্যাংকগুলো ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য লড়াই চালাচ্ছে।
এর মধ্যে নতুন ব্যাংকগুলো গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় না। তারা শহরাঞ্চলে ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করে।
অর্থাৎ, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিকরণ প্রক্রিয়ার আনতে তাদের অবদান সামান্য।