এক ভবনেই ৭ হাসপাতাল, বন্ধের পরেও চলছে চিকিৎসা
এক ভবনেই ৭ হাসপাতাল, বন্ধের পরেও চলছে চিকিৎসা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর এক ভবনেই ৭ হাসপাতাল! চিকিৎসার ন্যূনতম সুবিধা না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।
কিন্তু গোপনে আবারও তা চালু করেছে মালিকপক্ষ। রোগী ভর্তি করে পুরোদমে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রমও। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তার কিছুই জানে না। এমন চিত্র উঠে এসেছে সময় সংবাদের অনুসন্ধানে।
নাম মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার। রাজধানীর এ ভবনের ৪টি তলায় রয়েছে ৭টি হাসপাতাল। কেমন মিলছে সেবা?
হাসপাতালগুলো হলো: প্রাইম অর্থপেডিক ও জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল, রয়াল মাল্টি স্পেশিয়ালিটি হাসপাতাল, রেমিডি কেয়ার হাসপাতাল, লাইফ কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল, রাজধানী ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশান সেন্টার ও যমুনা জেনারেল হাসপাতাল।
গত জুলাই মাসে এ ভবনে অভিযান চালিয়ে সব হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযোগ, নেই বিএমডিসি অনুমোদিত কোনো চিকিৎসক, পর্যাপ্ত নার্স কিংবা ল্যাব সুবিধা। গোপন ক্যামেরায় দেখা গেল, দিব্যি চলছে বেশ কয়েকটি হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম। বাকিগুলোতে চলছে ধোয়া মোছা, খুলবে শিগগিরই। রোগীর অভিভাবক সেজে জানতে চাই ভর্তি করানো যাবে কিনা?
এ ভবনের একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান রোগী ভর্তি চলছে।
কাগজে-কলমে বন্ধ হাসপাতালগুলোতে রয়েছে রোগী। অনেকে আবার সেবা নিয়ে বাড়িতেও ফিরে যাচ্ছেন।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন জানান, এখানে আমার রোগীকে ৩দিন ভর্তি করে রেখেছিলাম আজ চলে যাচ্ছি। পঙ্গু হাসপাতাল থেকে আমাদের প্রাইম হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এক নারী জানান, আজ সোমবার সকালে রোগী নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। এখানে ভর্তি নিয়ে কথা প্রশ্ন করতেই তিনি জানালেন হ্যাঁ আমরা ভর্তি হয়েছি।
ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতেই পড়ে যায় হুড়োহুড়ি, ছুটে আসেন কর্মকর্তারাও। কেউ প্রভাব খাটিয়ে আবার কেউ টাকা সেধে ক্যামেরার আড়াল করতে চান বিষয়টি।
এরই মধ্যে খবর চলে যায় ভবনের অন্য হাসপাতালগুলোতে।
রুমের ভেতর লাইট জ্বলছে, ফ্যান বন্ধ করার সুযোগটাও মেলেনি। হুড়োহুড়ি করে বাইরে থেকে তালা দিয়েই সরে পড়েছেন। শেষ রক্ষা না হওয়ায় দাবি হাসপাতাল চলছে আদালতের আদেশে।
হেলথ কেয়ার হসপিটালের পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, রিট পিটিশন করা হয়েছে, হাইকোর্ট আমাদের নির্দেশ দেন, সেই অনুসারে পুনরায় চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা গেল হাসপাতাল খুলতে সব ধরনের দৌড়ঝাঁপই করছেন মালিকরা। তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে অনুমোদন দেওয়া হয়নি একটিকেও।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, তাদের নামে একটা কেস চলছে। এখনো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার অনুমোদন পায়নি তারা। সাংবাদিকের এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না না অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এক একটি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা মাত্র ১০ থেকে ২০টি। সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।