avertisements 2

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়াচ্ছে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ১৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২৫

Text

নিয়মিত অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার সঙ্গে ৫০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের কোলোরেকটাল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পাওয়া গেছে। ম্যাস জেনারেল ব্রিগহ্যামের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণার ফল যুক্তরাষ্ট্রের জেএএমএ অনকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ‘নার্সেস হেলথ স্টাডি–২’–এ অংশ নেওয়া প্রায় ৩০ হাজার নারীর ২০ বছরেরও বেশি সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়া সবার জন্ম ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে এবং তাদের বয়স ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই অন্তত দু’বার এন্ডোস্কপি করিয়েছেন। একই সঙ্গে চার বছর অন্তর বিস্তারিত খাদ্যাভ্যাস-সংক্রান্ত জরিপে অংশ নিয়েছেন তারা।

গবেষকেরা দেখেছেন, যারা দৈনিক প্রায় ১০টি অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেছেন, তাদের অ্যাডেনোমা—কোলন বা রেকটামে ক্যানসারের আগাম সংকেত হিসেবে পরিচিত ক্ষতিকর নয় এমন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ বেশি ছিল; যা যারা দৈনিক প্রায় তিনটি অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেন তাদের তুলনায় বেশি ঝুঁকির। এসব অ্যাডেনোমা কোলোরেকটাল ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত।

অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে অনেক প্রস্তুত খাবার, যেগুলোতে চিনি, লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যাডিটিভ বেশি থাকে। গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক ড. অ্যান্ড্রু চ্যান বলেন, এই ফলাফল এসব খাবার গ্রহণ কমানোর প্রয়োজনীয়তাকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, একটি প্রায় সরলরৈখিক ধারা দেখা গেছে; যেখানে মানুষ যত বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়েছেন, তাদের কোলন পলিপ হওয়ার ঝুঁকিও তত বেশি বেড়েছে।

এর আগের কিছু গবেষণায় অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে সার্বিকভাবে কোলোরেকটাল ক্যানসারের সম্পর্ক পাওয়া গেলেও আগাম ক্যানসারের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র দেখানো এটিই প্রথম গবেষণা।

গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন, কেবল খাদ্যাভ্যাস একাই এই ঝুঁকি বৃদ্ধির পুরো ব্যাখ্যা দেয় না। বিপাকজনিত সমস্যা, জিনগত বৈশিষ্ট্য ও জীবনধারাসহ অন্যান্য কারণও এই ক্যানসারে ভূমিকা রাখতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে কোলোরেকটাল ক্যানসার এখনও তৃতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যানসার এবং ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। দেশটিতে ২০২৫ সালে এ রোগে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৫৪ হাজার জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫২ হাজার ৯০০ মারা যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2