avertisements 2

এইচএমপিভি ভাইরাস: বিশ্ব নতুন মহামারির শঙ্কায় , কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০৮:৪৮ পিএম, ৮ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text

করোনা মহামারির পর বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। চলতি জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা এই ভাইরাস নিয়ে এখনও কোনো সতর্কতা জারি করেনি।


২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৪ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২১৩টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হন ১৭ কোটি ১৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে মারা যান ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫১২ জন।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হবে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাদের।

এইচএমপিভি ভাইরাসকে মৌসুমী ফ্লু-ও বলা যায়। ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। তবে ভাইরাসটি কতোটা ভয়াবহ হবে? শরীর ও জীবনের জন্য এটি কেমন হুমকি হতে পারে? এ নিয়ে তেমন কিছু এখনও জানা যায়নি।

এইচএমপিভি ভাইরাস কী 

ভাইরাস হলো অতিক্ষুদ্র সংক্রামক, যা শুধুমাত্র একটি জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ভাইরাস উদ্ভিদ, প্রাণী থেকে শুরু করে ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়াসহ সব জীবজগতকে আক্রান্ত করে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি বাস্তুতন্ত্রেই ভাইরাস পাওয়া যায়। এরা হলো সবচেয়ে বহুল সংখ্যক জৈবিক সত্ত্বা।

২০০১ সালে প্রথম দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আবিষ্কার হয়। আবিষ্কারেরও ৬০ বছর আগে থেকে ভাইরাসটি মানবজগতে রয়েছে, ফলে কোভিডের মতো নভেল বা নতুন ধরনের ভাইরাস এইচএমপিভি নয়। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হবেন।

চীনে সম্প্রতি এটি শনাক্ত হয়। ভাইরাসের প্রকোপে চীনে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। গত বছর চীনে ৩২৪ জন এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ২২৫। 

বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এমনকি এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কোভিড-১৯ একেবারে ভিন্ন ও নতুন আবহের ভাইরাস হওয়ায় এর প্রাদুর্ভাব বা মহামারির রেশ এতোটা বিস্তর হয়েছিল।

এর লক্ষণগুলো কী

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন বলেন, শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটি। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে।
 
কোন কোন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এইচএমপিভি

মূলত মৌসুমী রোগ বা ভাইরাসের হঠাৎ বৃদ্ধিকে প্রাদুর্ভাব বলা হয়। এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব প্রথমে শুরু হয় চীনে। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও। 

চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যে কোনো সময়ে দেশটি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলেও দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।

চীনের মতো একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে।

মালয়েশিয়াতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস।

আজ সোমবার ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বেঙ্গালুরুতে একই দিনে দুই শিশুর শরীরে পাওয়া গেছে। প্রথমে আট মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে ভাইরাসের হদিস মেলে। পরে তিন মাসের এক শিশুর শরীরেও একই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। 

এই পরিস্থিতিতে আগে থেকেই সতর্ক ছিল ভারত। শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও চিকিৎসকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক খবরে বলা হয়েছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) আজ সোমবার নিশ্চিত করেছে, ওই দুই শিশুর শরীরে এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশব্যাপী শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা নিয়ে আইসিএমআরের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে দুই শিশুর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছিলো।

এইচএমপিভি কীভাবে ছড়াতে পারে

এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতো ছড়ায়। এটি সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট বায়ুকণা থেকে ছড়ায়। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির জীবাণু হাঁচি-কাশির কারণে বা জীবাণুযুক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। এইচএমপিভি আক্রান্ত কারও কাছে গিয়ে তার কাপড় বা ব্যবহার্য কোনো জিনিসি ধরে নাকে-মুখে-চোখে হাত দিলে এইচএমপিভি শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়; গড়ে ৫ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়।

এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কারা

করোনা ভাইরাসের মতো এই ভাইরাসেও সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা। বিশেষ করে আগে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তারা নতুন এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে আগেও এইচএমপিভি ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল। এখনও শিশু আর প্রবীণদের শরীরে মিলবে এটির অস্তিত্ব। তবে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। করোনার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

এইচএমপিভির টিকা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কার হলেও এইচএমপিভি সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোনো টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এতে সংক্রমিত হলে চিকিৎসার জন্য ওষুধও নেই। এ পরিস্থিতি কি ভয়ের কারণ হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীতে লাখ লাখ এমন ভাইরাস রয়েছে, যার কোনো টিকা বা ওষুধ নেই। তাই বলে সেই ভাইরাসের সংক্রমণে মানুষ মারা যাচ্ছেন, এমন কিন্তু নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ নিজে থেকে সেরে যায়। পোলিও, মিসলসের মতো কিছু ভাইরাসের সংক্রমণে যথেষ্ট শারীরিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই, এগুলোর টিকা আগে থেকে দেওয়া হয়। নয়তো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিয়ম হল সংক্রমণের বহর দেখে টিকা তৈরি করা। ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে যদি ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে, তখনই ওষুধ ও টিকা তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, অধিকাংশ ভাইরাসেরই সরাসরি কোনো ওষুধ নেই। তবে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা রয়েছে; এটির ক্ষেত্রেও তাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে কি না, সে বিষয়ে চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয়। তবে শিশুদের ও খুব বয়স্কদের সাবধানে থাকা জরুরি। 

ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. অতুল গয়াল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এইচএমপিভি সাধারণ ফ্লু, প্রাথমিকভাবে এটি সাধারণ ফ্লু বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সংক্রমণ যেন না ছড়ায় সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। হাঁচি-কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল বা তোয়ালে পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডা ও জ্বরের জন্য সাধারণ ওষুধ সেবন করলেই হবে।’

 যে কোনো সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় যে পরিচ্ছন্নতা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শিশু, বয়স্ককে পরিচ্ছন্নতায় জোর দিতে হবে। যে কোনো কিছু খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে। অযথা ভয় পাবেন না, কিন্তু সতর্ক থাকতে ভুলবেন না। পরিচ্ছন্নতাই সংক্রমণ রুখতে পারে।

বাইরে থেকে আসলে বাথরুমে গিয়ে পোশাক বদলে হাত-মুখ সাবান দিয়ে তবেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। কেননা বাইরে নানা মানুষের সংস্পর্শে থাকায় অদৃশ্য ভাইরাস আপনার সঙ্গে বাড়িতে চলে আসতে পারে।

যেসব বাচ্চার অ্যালার্জিজনিত হাঁচি, সর্দি লাগা বা হাঁপানির প্রবণতা আছে, তাদের সাবধানে রাখুন। বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।

এই ভাইরাসও ড্রপলেট, অর্থাৎ হাঁচি- কাশি মারফত ছড়ায়। এই ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে। তাদের  সর্দিকাশি হলে তার কাছাকাছি যেতে নেই। 

সর্বোপরি চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। সে সব সতর্কতা মেনেই চলতে হবে।

বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বসবাসের অনুপযোগী পরিবেশ, ভেজাল খাদ্য, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি থাকায় বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাসের প্রকোপ বেশি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বেড়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন-জীবিকা ও স্বাস্থ্যের ওপর। এর ফলে শুধু ভাইরাস নয়, কয়েক বছর ধরে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এতে দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ সমকালকে বলেন, অনেক ভাইরাস হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি থাকায় এসব ভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, জীবনযাত্রা মান বদলে যাওয়া, ভেজাল খাদ্য, বসবাসের অনুপযোগী পরিবেশ থাকায় বাংলাদেশে অন্য রোগের প্রকোপও বেশি।

তিনি বলেন, ভাইরাসপ্রতিরোধী টিকার বাইরে থাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বস্তি ও ভাসমান লোকদের টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম। দেশের মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন নয়, ফলে এইচএমপিভিও করোনার মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।

২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের। একপর্যায়ে এটি মহামারিতে রূপ নেয়। থমকে যায় পুরো বিশ্ব। সেই সঙ্গে প্রাণ হারান লাখ লাখ মানুষ। সেই মহামারির ৫ বছর পর আবারও নতুন ব্যাধি আতঙ্কে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন। প্রাথমিক ধারণা, রাইনোভাইরাস ও দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে রহস্যময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এইচএমপিভির লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে জাপান, মালয়েশিয়া, ভারতেও। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও। শঙ্কা রয়েছে মহামারিতে রূপ নেওয়ার।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2