avertisements 2

পথে পথে ইলিয়াসপত্নীর প্রচারে বাধা, গাড়িতে হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর, বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫৭ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে প্রচারকাজের সময় গতকাল মঙ্গলবার দুটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনার গাড়িতে হামলা ও প্রচারকাজে বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

এর আগে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিএনপির মিছিল ও পথসভায় ধাওয়া ও হামলা করে ছাত্রলীগ। আগামী শনিবার বিএনপির ওই মহাসমাবেশ হবে।
বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে গতকাল বিকেলে নেতাকর্মীদের নিয়ে ওসমানীনগরে প্রচারপত্র বিতরণ করতে যান ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদী লুনা। এ সময় শেরপুর থেকে দয়ামীর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। দক্ষিণ গোয়ালাবাজার এলাকায় পুলিশ অবস্থান নিয়ে ট্রাক দাঁড় করিয়ে মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সেখানে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লুনার গাড়ি ব্যারিকেড ডিঙিয়ে যেতে পারলেও বাকি গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। লুনার গাড়ি উত্তর গোয়ালাবাজার প্লাজার সামনে এলে তাতে হামলা চালায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ। এ সময় দ্রুত গাড়িটি স্থান ত্যাগ করে দয়ামীরের দিকে চলে যায়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে ঝটিকা প্রচারপত্র বিলি শুরু করলে চার-পাঁচ মিনিটের মাথায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় লুনা পুলিশকে তাঁর গাড়িতে হামলার বিষয়টি অবগত করে গাড়ির (ঢাকা মেট্রো গ ২১/৫৮২২) সামনের কাচ ভাঙা ও পেছনের বনেটে আঘাতের চিহ্ন দেখান।  

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী লুনা তাঁর গাড়িতে হামলার জন্য সরাসরি ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দায়ী করে বলেন, ‘১৯ নভেম্বর সিলেটে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সরকারের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আর তাই বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিকে বানচাল করতে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ মিছবাহ ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রউফ আব্দুল আহত হয়েছেন। ’ 

লুনা দয়ামীর এলাকা ত্যাগ করলে থানা পুলিশ বিএনপি নেতাদের ধাওয়া করে দুজনকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফয়সল আহমদ মিলন ও উমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নরুল ইসলাম।

ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস টি এম ফখর উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আহত হয়েছেন। ’ 

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া বলেন, ‘যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোয়ালাবাজার প্লাজার সামনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ কেক কাটতে সমবেত হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছয়জন আহত হন।   

ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাঈন উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছয়জনের মতো আহত হয়েছেন এমন সংবাদ পেয়েছি। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। পরে মামলা হলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। ’

বিয়ানীবাজারে প্রচার মিছিল ও পথসভায় হামলা ধাওয়া : এর আগে দুপুর ২টার দিকে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের দক্ষিণবাজারে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রচার করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বাধা ও হামলার মুখে পড়েন উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় পৌর শহরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে মুসলিম মিয়া নামের এক শ্রমিক আহত হন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল আলম বলেন, ‘আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার সময় ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগের নির্লজ্জ হামলার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাচ্ছি। ’

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাওছার আহমদ বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উসকানিমূলক মিছিল দিয়ে পৌর শহরের শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ সেটি প্রতিহত করেছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2