২২ বছর কারারক্ষীর চাকরি, পর জানা গেল তিনি ‘ভুয়া’
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:২১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত।
ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ২২ বছর কারারক্ষী থাকার পর জানা গেল তিনি আসলে ভুয়া। নিজের পরিচয় গোপন করে অন্যের নামে কারারক্ষীর চাকরি করা মো. তাজুল ইসলামকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম, একটি কারারক্ষীর জ্যাকেট, একসেট কারারক্ষী রেইনকোট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি-পত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, র্যাব ১১ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. নুর উদ্দিন খানের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন খান। ২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজির হয়ে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানায় নিয়োগপত্র পরবর্তীতে ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে। একই নিয়োগ দেখে পরীক্ষা দেয় কুমিল্লার এক ব্যক্তি। তিনি অকৃতকার্য হন। পরে কৃতকার্য মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য সব কাগজপত্র নকল করে চাকুরি নেয় কুমিল্লার তাজুল ইসলাম। ২০২০ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০০ জন কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০-২২ বছর ধরে চাকরি করে আসছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়। এরপরই মঈনের ঘটনাটি সামনে আসে। প্রকৃত মঈন এটি নিয়ে আদালতে মামলা করে। মামলার পর ভুয়া মঈন (তাজুল ইসলাম) তাকে ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের প্রস্তাব দেয়। এতে মঈন রাজি না হলে ভুয়া মঈন (তাজুল ইসলাম) আত্মগোপনে চলে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভুয়া মঈনকে খুঁজতে থাকে। এর মধ্যেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় র্যাবের সহায়তা চান ওই কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে তার পরিচয় শনাক্ত করে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে মামলার তদন্ত পরিচালনাকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। এসব ঘটনায় র্যাব সরব ভূমিকা পালন করবে আগামীতেও।।