avertisements 2

১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস পাস করেন ডা. সাবরিনা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৮ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

এবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৭৬ সাল। দ্বিতীয় এনআইডিতে জন্ম তারিখ দেওয়া হয় ১৯৮৩ সাল। ১৯৯১ সালে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ (মিটফোর্ড) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন। ডা.সাবরিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রথম এনআইডির তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরি করেন, যা আইনগত অপরাধ। ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি পুলিশের গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন। চার্জশিটে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এদিকে চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিকৃত ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও ১৫ ধারা অনুসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অপরাধ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করায় পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অপরাধ করেছে।

গত ২২ নভেম্বর সাবরিনা কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন কারাগার থেকে সাবরিনাকে আদালতে হাজির করা হয়।তবে এদিন সাবরিনার আইনজীবী এ বিষয় শুনানি করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। এছাড়া আজ শনিবার ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

তারও আগে গত বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর কারাগারে থাকা সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেন। সাবরিনার উপস্থিতিতে শুনানি করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আগামী ২২ নভেম্বর সাবরিনাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2