জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী এখন নিখোঁজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:০৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ সাময়িক বহিষ্কার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী ৬ দিন ধরে নিখোঁজ। গত মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবী থানায় এ নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তাঁর পরিবার। তবে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কেউ এখনো যোগাযোগ করেনি। বৃহস্পতিবার নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্য, থানা-পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানায়।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, ২৫ অক্টোবর সকালে পল্লবী থানায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন ছাত্রী। কিন্তু থানা থেকে জানানো হয়, সে থানায় পৌঁছেনি । তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। প্রথমদিকে পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, বন্ধু বা আত্মীয়ের বাসায় যেতে পারেন। এরপরও ফিরে না আসায় ২৭ অক্টোবর হারিয়ে যাওয়া বিষয়ে একটি মিসিং ডায়েরি করে পরিবার। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছে, তারা সব থানায় এ বিষয়ে জানিয়েছে। এখনো কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ ছাত্রীর বড় বোন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বোন ক্যাম্পাসের পাশেই রায়সাহেব বাজার মোড়ে মেস বাসায় থাকতেন। তবে করোনার শুরুতে পল্লবীতে বাড়িতেই থাকতেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাবা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ জন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানাতে পারিনি। তবে সে যে সংগঠন করত, তাদের জানানো হয়েছে। সে যে রাজনীতি করত, এটাও আমরা জানতাম না। জানার পরে তাঁকে নিষেধ করেছিলাম।’
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ বলেন, ‘তাঁকে খুঁজে পেতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। খোঁজার চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে এখনো তাঁর পরিবার বা অন্য কেউ আমাদের জানায়নি। আমাদের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করলে সহযোগিতা করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে এই ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে এবং অভিযুক্ত ছাত্রীকে ১০ দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্য জানাতে বলা হয়।
তবে ওই ছাত্রী ২৩ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি বলেছেন তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে মন্তব্য করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন, ‘২৩ অক্টোবর সে জিডি করার পর থেকেই বিষয়টি তদন্তে আমরা অগ্রসর হচ্ছিলাম। এরই মধ্যে সে নিখোঁজ হয়ে গেল।’