সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, খণ্ডিত মাথা উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০১ এএম, ১০ জুন,মঙ্গলবার,২০২৫

সাতক্ষীরার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার শিকার চা বিক্রেতা ইয়াসিন আলীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের একটি কালভাটের নিচ থেকে বস্তাভর্তি মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে ঘাতক জাকির হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। জাকির হোসেন সদর উপজেলার পারকুখরালী গড়েরকান্দা এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে।
মাথা উদ্ধারের পর অভিযুক্তের ব্যবহৃত মোটরভ্যান ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা করছে র্যাব। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
খুলনা র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, ইয়াছিন আলীর সাথে জাকিরের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার লেনদেনের ২০ হাজার টাকা পেতেন ঘাতক জাকির। কয়েকবার তাগিদ দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির। কিন্তু ইয়াছিনকে তা বুঝতে না দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা বলে গত ৩০ আগস্ট একটি ভ্যানে তাকে শহরের বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় গল্পগুজব করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে জাকির। রাত যখন গভীর হয় তখন খুনি সুযোগ বুঝে রাত ১২টার পর ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। কোপানোর পর ইয়াছিন আলী পড়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে জাকির। একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন মাথাবিহীন মৃতদেহ টেনে রাস্তার পাশে পানিতে ফেলে দেয়। তার মাথাটি আলাদা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাইপাসের একটি কালভাটের নিচে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, পরদিন ৩১ আগস্ট এলাকার লোকজন রাস্তায় পার্শ্বে পানিতে লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চার দিন পর র্যাব ইয়াাছিন হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদ্ঘাটন করতে সমর্থ হলো।