কাশিয়ানীতে এক বছর ধরে অবরুদ্ধ ৫ পরিবার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৬ এএম, ২৭ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইটের দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবেশীদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ফলসি গ্রামের প্রভাবশালী আসলাম শেখের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবারগুলো জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে গত এক বছর ধরে অবরুদ্ধ হয়ে শঙ্কা ও মানবেতর দিন কাটছে ওই পাঁচটি পরিবারের।
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বয়োজ্যেষ্ঠ ও অন্তসত্ত্বা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। কোন মতে পাশের একটি সরু পথ দিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা।
ভূক্তভোগী লাল্টু সরদার বলেন, ২০০ বছর ধরে আমরা রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছি। প্রতিবেশি আসলাম শেখ, লাড্ডু শেখ ও হাসান শেখ স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি ইটের প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচটি পরিবারের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তর পাশে আসলাম শেখ ইটের প্রাচীর তুলে হঁাটার পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। তার পাশে লাড্ডু শেখ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন। দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে পানি থাকায় যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য ফুলজান বেগম (৭৫) বলেন, ‘এক বছর ধরে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে রাস্তার ব্যবস্থা করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে আসলাম শেখের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ওই পরিবারগুলো আমাদের অনেক অত্যাচার করে। গাছের আম ছিঁড়ে নিয়ে যায় এবং পুকুরের মাছ নিয়ে যায়। তাই আমার ছোট ভাই রাগ করে দেয়াল নির্মাণ করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।’
নিজামকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী বলেন, ‘পাঁচটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক। বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসা হয়েছিল। কোনো সমাধান করতে পারেনি। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সমাধান করে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। তবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।