avertisements 2

অক্টোবর–নভেম্বর জুড়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনা, জাঁকিয়ে পড়বে শীত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ১৮ অক্টোবর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৪৭ পিএম, ১১ মার্চ,সোমবার,২০২৪

Text

এখন ভ্যাপসা গরম লাগলেও তার স্থায়িত্ব বেশিদিন নয়। বরং অক্টোবর–নভেম্বর মাস জুড়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব বজায় থাকবে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও থাকছে বলে মনে করছেন আইএমডি’‌র প্রধান এম মহাপাত্র। আর এই পরিস্থিতির জেরে শীতকাল জুড়ে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের এই আগাম পূর্বাভাস থেকে স্পষ্ট, এখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না মানুষের। ফলে গোটা উৎসবের মরশুম কাটবে দুর্যোগের মধ্যেই। দিল্লির মৌসম ভবনের ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র জানান, লা নিনা অবস্থা শুরু হতে চলেছে। তার প্রভাবে একদিকে যেমন বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে, তেমনি শীতকালে শৈত্যপ্রবাহ বজায় থাকবে। নভেম্বর মাসে আরও একটি পূর্বাভাস জানানো হবে।

নভেম্বর মাসে শীত কেমন পড়বে তার স্পষ্ট আভাস দেওয়া হবে। যেহেতু লা নিনা অবস্থা শুরু হচ্ছে, তার একটা ব্যাপক প্রভাব শীতকালেও থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমছে। একই রকম তাপমাত্রা বজায় থাকবে। মধ্য ও পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় তাপমাত্রা কম থাকবে। পরের বছরের শুরুর দিকে এই ধরনের তাপমাত্রা বজায় থাকবে। যার একটা প্রভাব ভারতের ওপরও পড়বে। তবে এখনও পর্যন্ত অক্টোবর মাসে কোনও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়নি।


উত্তর কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা পশ্চিম থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি আরব সাগরে প্রবেশের পর পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করবে। পুনরায় শক্তি সঞ্চয়ের পর এটি আবার মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে যাবে। গত ১৬ অক্টোবর থেকেই এই ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া চলছে যা আরও ২৪ ঘন্টা বজায় থাকবে। এই নিম্নচাপের প্রভাব কাটার পরই বর্ষা ভারত থেকে বিদায় নেবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2