ভারত থেকে আসা পচা পেঁয়াজে ব্যবসায়ীদের ১০ কোটি টাকা ক্ষতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৪০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৫৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ভারত পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ওপারে আটকা পড়ে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানিকারকদের ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজ। পাঁচদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে আগের এলসি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয় ভারত। তবে টানা ৭-৮ দিন ট্রাকে আটকে থাকায় এসব পেঁয়াজের অধিকাংশ পচে যায়। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশে আমদানিকৃত ৯২৫ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে দুই কোটি টাকার অধিক। সবমিলে ১৬৫ ট্রাক পেঁয়াজে আমদানিকারকদের ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা।
ভোমরা স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর ১৭ সেপ্টেম্বর দেশে আসে আগের এলসি করা ৩১ ট্রাকে ৭২১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ ট্রাকে ১০৮ মেট্রিক টন, ২১ সেপ্টেম্বর চার ট্রাকে ৯৬ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই পচা।
ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, টানা ৭-৮ দিন ভারতে আটকা পড়ে থাকায় প্রতিটি ট্রাকের ৫০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো কিছুটা ভালো। তবে সেগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম অর্থাৎ জেলার বাইরে পাঠানোর অবস্থা নেই। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। ভারতীয় এসব পচা পেঁয়াজ কম দামেও বিক্রি হচ্ছে না। এসব পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপদে পড়েছি আমরা।
তিনি বলেন, প্রতি ট্রাক পেঁয়াজের মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। প্রতিটি ট্রাকে ব্যবসায়ীদের পাঁচ-ছয় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। ওপারে যে ট্রাকগুলো এখনও আটকা রয়েছে সেগুলোর পেঁয়াজ একটাও ভালো থাকবে না। সবমিলে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। তবে এখনও পেঁয়াজ রফতানির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি ভারত। যে পেঁয়াজগুলো এখন আসছে সেগুলো আগের এলসি করা।
সাতক্ষীরার বড় বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাকিব এন্টারপ্রাইজের মালিক কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে যে পেঁয়াজ আসছে তার সবই পচা। এসব পেঁয়াজের ক্রেতা নেই। কম দামে বিক্রি করছি এসব পেঁয়াজ।
ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, আগের এলসি করা ৪০ ট্রাকে ৯২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এ পর্যন্ত দেশে এসেছে। মঙ্গলবার কোনো ট্রাক আসেনি। তবে এখনও কয়েকটি পেঁয়াজের ট্রাক আটকে আছে ভারতে। হঠাৎ করে কেন পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল সে বিষয়ে আমাদের এখনও কিছু জানায়নি ভারত।