চলতি মাসেই একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
চলতি মাসেই বঙ্গোপসাগরে একাধিক গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ছাড়াও অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত পরিমাপ একেক বিভাগে একেক রকম হয়। জুনে ঢাকা বিভাগে ৩৫৬ মিলি., ময়মনসিংহে ৪৩২ মিলি., চট্টগ্রামে ৫৮৯ মিলি., সিলেটে ৬৩৪ মিলি, রংপুরে ৩৮৯ মিলি, খুলনাতে ২৯৬ মিলি, বরিশালে ৪৮৩ মিলি মিটার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হিসেবে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জুনে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। জুনের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২-৩ দিন মাঝারি ও তীব্র বজ্রঝড়, এবং দেশের জন্য জায়গায় ৩-৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসের প্রথমার্ধে আসবে পুরো দস্তুর বর্ষাকাল। এ মাসে সাগরে যেমন নিম্নচাপ, ভারি বর্ষণ, আকস্মিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে, তেমনি তীব্র তাপপ্রবাহের আভাসও রয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।
এদিকে রবিবার (০৬ জুন) সকাল ছয়টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও তা বর্ষার বৃষ্টি নয়, এটা পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে হচ্ছে। এ জন্য থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মৌসুমি বায়ু দেশে ঢোকার পরই মূলত বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। আগামী বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে দেশে ভারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এর দু-এক দিন পর একটি নিম্নচাপের সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বা ঝড়ও হতে পারে।’
দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ু মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে এবং তা আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অনুকুল পরিস্থিতি রয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা নাগাদ এই মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সারা দেশে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। উত্তর-মধ্য অঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য জায়গায় তিন থেকে চারদিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে।