দেড় লাখের ফ্রিজ ৭৫ হাজারে দেওয়া ই-কমার্স পালাবে-মোজাম্মেল হক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৫ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
যেসব অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ই-কমার্স কোম্পানী) দেড় লাখ টাকার পণ্য ৮০ বা ৭৫ হাজারে দেয় তারা গা ঢাকা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
বুধবার (২ জুন) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ সভা শেষে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন ব্যবসা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এটা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, একটা ফ্রিজের দাম দেড় লাখ টাকা, কিন্তু অফার দেয়া হচ্ছে আমি ৮০ হাজার কিংবা ৭৫ হাজার টাকায় দেব। হয়তো ১০ বা ২০ জনকে দেয়ও। ৫০০ মানুষ আবেদন করবে, তাদের বলবে অমুক দিন দেব। আমরা আশঙ্কা করছি হয়তো সে গা ঢাকা দেবে। যেটা যুবক করেছে।'
''এটি আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়কে বলেছি, একইসাথে পুলিশ বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এমন অস্বাভাবিক কথা যারা বলে তারা কারা, তাদের সুনির্দিষ্ট ডাটা রাখা, তারা যাতে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যেতে না পারে। অগ্রিম সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে।''
তিনি বলেন, 'অনেকে ২০ শতাংশ হারে সুদ দেয়ার কথা বলে। এরা হয়তো ২০০ বা ৩০০ মানুষকে দেবে। বাকিটা নিয়ে গা ঢাকা দেবে, আমরা এটা আশঙ্কা করছি। এই ধরণের অস্বাভাবিক কথা যারা বলে, যারা বিজ্ঞাপন দেয়, পুলিশ যাতে তাদের নজরদারিতে আনে। আমরা সরকারি রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণকেও সতর্ক করতে চাচ্ছি যে, এই সমস্ত ফাঁদে পা দেবেন না।'
সভায় কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, 'সামনে ঈদ। আমাদের ট্যানারিগুলো এখনও শিফট হয়নি। আমরা শিল্পমন্ত্রীকে বলেছি, দাম নির্ধাণ করে তিনদিন আগে না অনেক আগে থেকেই এটা প্রচার করার জন্য। যতটুকু সম্ভব এখান থেকে সাভারে শিফট করার জন্য। এগুলো যাতে পাঁচার না হতে পারে সেজন্য বর্ডারকে আরও সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বলা হয়েছে।'
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও দাবি করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।'
সভায় হেফাজতে ইসলাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'খবুই নগণ্য সংখ্যক, কয়েকজন হাতেগোনা, গোয়েন্দা সংস্থা চিহ্নিত করেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, ভবিষ্যতেও কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রমাণ হলে ব্যবস্থা আমরা ব্যবস্থা নেব।'
''আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার, হয়রানি করা হচ্ছে- তা সঠিক নয়। অপরাধের বিচার হবে, অপরাধী হিসেবে। কোনো দলীয় বা সম্প্রদায়ের পরিচয়ে আইনের অপব্যবহার না হয় সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।''
তিনি আরও বলেন, 'কিছু বিদেশি নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা দেশে যেতে পারছেন না, নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। প্লেন বন্ধ, কেউ বলছে টাকা নেই। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, তাদের অধিকাংশই ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত। তাদের আইনের আওতায় এনে সেইফ জোনো রাখা বা যদি টাকা না থাকে সরকারিভাবে টিকেট কেটে তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।'
উল্লেখ্য বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ের এমন অফার দিয়ে আসছে ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালিসহ কয়েকটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ইভ্যালির বিরুদ্ধে সময়মতো পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের।
উৎসঃ ক্যাম্পাস টাইমস