হেফাজত আমির আল্লামা শফীর জানাজা শনিবার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:০১ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজা শনিবার বাদ জোহর হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শফী হুজুরের জানাজা শনিবার বাদ জোহর হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে। তার ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী জানাজায় ইমামতি করবেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. বদিউল আলম জানান, শনিবার দুপুর ২টায় শফী হুজুরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। হুজুরের মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আনা, জানাজা এবং দাফনে প্রশাসন সহায়তা দেবে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বার্ধক্যজনিত কারণে অনেক দিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গত কয়েক বছরে তিনি বেশ কয়েকবার দেশ ও দেশের বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সর্বশেষ গত জুনে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয় আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে।
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জন্ম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পাখিয়ারটিলা গ্রামে। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।
রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু হয় আল্লামা শফীর। এরপর পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসায় (পটিয়া জিরি মাদ্রাসা) পড়াশোনা করেন তিনি।
পরে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।
১৯৮৬ সালে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক (মুহতামিম) হিসেবে দায়িত্ব নেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। বৃহস্পতিবার একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর ধরে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো এবং বড় মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক হিসেবে কওমি মাদ্রাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।