গভীর বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৭ দিন ধরে গভীর সাগরে ১৮ জেলে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৭ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১২:৪৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ইঞ্জন বিকল হয়ে পড়ায় ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ১৬ জেলে। পরে গভীর সমুদ্রে তাদের সন্ধান মিলেছে। বুধবার দুপুরের দিকে গভীর সাগরে সন্ধান পাওয়ার পর সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রলার মালিক মো. নুরুল ইসলাম।
এর আগে সাগর থেকে জেলেরা ফিরে না আসা এবং তাদের সন্ধান না পাওয়ায় ট্রলার মালিক মো. নুরুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর থানায় একটি জিডি করেছেন। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে ১১ জনের বাড়ি বরগুনা জেলার গুলিশাখালী ও বাকি ৭ জনের বাড়ি ভোলার নুরাবাদ এলাকায়। ১৮ জেলের মধ্যে বরগুনার গুলিশাখালী এলাকার মো. রিপন, মো. বাবুল, আলমগীর হোসেন, মোশারেফ হোসেন ও ভোলা জেলার নুরাবাদ এলাকার মো. ফারুক মাঝির নাম জানা গেছে।
এফবি হযরত কায়েদ (র.) ট্রলারের মালিক মো. নুরুল ইসলাম বলেন,গত ৭ ডিসেম্বর বরগুনার গুলিশাখালী ঘাট থেকে ১৮ জেলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে মাছ ধরার জন্য সাগরে রওনা হন। সাধারণত প্রতি ট্রিপ ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কূলে ফিরে আসে। এ সময়ের মধ্যে না আসায় এবং জেলেদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারায় বরগুনা সদর থানায় জিডি করা হয়।
পরে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহযোগিতায় সাগরে সন্ধানের জন্য ট্রলার পাঠানো হয়। পরে গভীর সাগরে এফবি জিকে-৪ নামে বড় ফিশিং ট্রলার ইঞ্জিন বিকল অবস্থায় ১৮ জেলেসহ ট্রলারটি উদ্ধার করে।
ওই ট্রলারের ফারুক মাঝির বরাত দিয়ে নুরুল ইসলাম আরও বলেন,তাদের ট্রলারের খাদ্যসামগ্রী শেষ হওয়ায় ৮ দিন না খেয়ে থেকেছেন ১৮ জেলে। উদ্ধারকৃত ট্রলারের (ভ্যাসেল) ক্যাপটেন তাদের খাবার দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ ট্রলারটি কূলে আসবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন,আমরা উদ্ধারকারী জাহাজের ক্যাপটেনের সঙ্গে কথা বলেছি- বিকল হওয়া ট্রলারসহ উদ্ধারকৃত জেলেদের নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী ট্রলারটি। তারা নেটওয়ার্কের মধ্যে আসার পর এ তথ্য জানিয়েছে।