avertisements 2

খাগড়াছড়িতে ভারীবর্ষণে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:১৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে জেলার আলুটিলার সাপমারায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা-খাগড়াছড়ি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আটকা পড়েছে অনেক যানবাহন এবং ভোগান্তিতে যাত্রীরা। সড়কের মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

খাগড়াছড়ির ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স লিডার মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছি। দ্রুত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। সড়কের বেশ কিছু স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ভোরের দিকে সাপমারা এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসের পর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক তলিয়ে গেছে। এ কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এতে সড়কে পানি জমে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানিতে সকাল থেকে মহালছড়ির চব্বিশ মাইল সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়াটার এলাকায় সড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ কারণে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

এদিকে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গেও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড়ি ঢলে সাজেক-খাগড়াছড়ি সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং বাজারসহ একাধিক স্থানে সড়কের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটকবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাজেকে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক।

অন্যদিকে জেলার পাহাড়গুলোর পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকে জেলা সদরের শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লা টিলা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়া পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2