বাগেরহাটে দুই তরুণীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জানুয়ারী,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বাগেরহাটের দুই তরুণীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ শাকিল সরদার (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফকিরহাটের জারিয়া এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে নির্যাতিত ২১ বছর বয়সী এক তরুণী বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অপর আসামি মেহেদী হাসান (২০) পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তার শাকিল সরদার ফকিরহাট উপজেলার জাড়িয়া-চৌমাথা এলাকার মোস্তাব সরদারের ছেলে। সে ফকিরহাট কাজী আজহার আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। অন্য আসামী মেহেদী হাসান একই এলাকার সেখ মাসুমমেল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে দুই বান্ধবী চাচাতো ভাই ও তার বন্ধুর সাথে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঘুরতে যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১১টার সময় খানজাহান আলী মাজারে ঘুরতে যায়। আনুমানিক রাত ১২টা ১০ মিনিটে খুলনার দিকে রওনা দেয়। পরে ফকিরহাটের জারিয়া চৌমাথা এলাকায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় শাকিল সরদার এক তরুণীর ওড়না টেনে ধরে। এতে ওই তরুণী ও তার বন্ধু রাস্তার উপর পড়ে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে অন্য মোটরসাইকেলের চালক ও তরুণী মোটরসাইকেল থেকে নেমে যায়। মোটরসাইকেলের তরুণ-তরুণীরা কোন কিছু জানতে চাওয়ার আগেই শাকিল ও মেহেদী তাদেরকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে শাকিল ও মেহেদী ওই তরুণীদেরকে পার্শ্ববর্তী স্বপন দেবনাথের চায়ের দোকানের ভিতরে নিয়ে যায়। একজনকে চায়ের দোকানে এবং অন্য জনকে পার্শ্ববর্তী প্রশান্ত ব্যানার্জির টিনসেড দোকানের পিছনে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা দুই তরুণী ও তরুণকে পার্শ্ববর্তী জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আবারও ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে তরুণীদের সাথে থাকা এক তরুণ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শাকিল ও মেহেদী তরুণ-তরুণীদের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এর মধ্যে আগে পালিয়ে যাওয়া তরুণ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানায়। পরবর্তীতে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বাড়ি থেকে তরুণীদেরকে উদ্ধার করে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ধর্ষণের শিকার তুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে শাকিল সরদার নামের একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শাকিল সরদারকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অপর আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।