৭ স্ত্রীকে নিয়ে রবিজুলের এক ছাদের নিচে সুখের সংসার!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সাত স্ত্রীর সঙ্গে রবিজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
রূপকথার গল্পে আমরা যেমন শুনি রাজা-মহারাজার অনেক গুলো রাণী। সবাইকে নিয়ে থাকতেন একই প্রাসাদে। আশ্চর্য মনে হলেও বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে। এক বা দুই নয়, এখন পর্যন্ত সাতটি বিয়ে করেছেন। একই ছাদের তলায় থাকেন সাত স্ত্রীকে নিয়ে।
কুষ্টিয়ার সদরের পাটিকাবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা রবিজুল ইসলাম। তার ভাষ্য, মায়ের করা মানত পূরণ করতেই এত বিয়ে করেছেন। তিনি জানান, স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে কোনো অশান্তি নেই। বাবাসহ সাত স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করছেন। সাত স্ত্রীই তাকে খুব ভালোবাসেন। যত্ন নেন। নিজেকে ভাগ্যবান বলেও দাবি করেন তিনি।
তার স্ত্রীরা হলেন—কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)।
একাধিক বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য আমার মা মানত করেছিলেন যে, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দিবেন। মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি। এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি।’
স্ত্রীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাতটি বউ-ই খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। তারা সারাদিন একসঙ্গে কাজ করেন। সপ্তাহের সাত রাতে সাত বউয়ের কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।’
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রথম রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে। এরপর ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। মাস চারেক আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।
স্থানীয়রা বলেন, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত বউ নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত বউ মিলেমিশে সংসার করে। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে।
রবিজুলের স্ত্রীরা বলেন, তারা সাত বোনের মতো। সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করেন। সবার সঙ্গেই সবার ভালো সম্পর্ক। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। তারা জেনে-শুনেই বিয়ে করেছেন। স্বামী এমন কিছু করেন না—যাতে তাদের মন খারাপ হবে। এভাবেই তারা সংসার চালিয়ে যেতে চান।