avertisements 2

তিন মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রাম

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ অক্টোবর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪

Text

ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকটি গ্রামের পর সালথা উপজেলার একটি গ্রামের অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক বিধবা নারীর বসতঘরের ওপর বিশাল গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে গেছে। অনেকস্থানে সড়কের উপড়ে গাছ পড়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় গোটা একটি গ্রাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টাবর) সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সানাতুদী গ্রামে এই ঝড় হয়। এর আগে একই দিন বিকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এদিকে ভাঙ্গায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রহস্থদের মাঝে সরকারি সহায়তা নিয়ে ছুটে গিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলায়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সানাতুদী গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। প্রচন্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানা কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মাসগির মুন্সির অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধস্ত হয়।

এছাড়া গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক। ঝড়ের সময় ওই গ্রামের বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল সেমিপাকা একটি বসতঘরের ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ সময় লিপি বেগম বাথরুমে আশ্রয় নেন প্রাণে বাঁচতে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে সড়কের ওপর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গ্রামে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন ঝড়ে গ্রামবাসীর ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের নিকট পাঠানো হয়েছে।

এর আগে একইদিন বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, সারাদিনের প্রবল বর্ষণের পর বিকেলের দিকে মাত্র এক দুই মিনিটেরও কম সময় এই ঘূর্ণিঝড় স্থায়ী হয়। এতে দুই ইউনিয়নের ৬ টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশো গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছি।

পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তিনটি খুটি ভেঙ্গে গেছে। অনেকগুলো আঁকা বাকা হয়ে পড়েছে। আজকালের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌছে ক্ষতিগদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। ইতি মধ্যে ভাঙ্গা সহায়তার কাযক্রম শুরু হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2