avertisements 2

সাভারে ভয় দেখিয়ে চার লাখ টাকা আদায়, ভুয়া এসআই আটক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ আগস্ট,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৪০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪

Text

গ্রেপ্তার ভুয়া এসআই হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত 

সাভারে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আসামি’বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ অফিসার পরিচয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে চার লাখ আদায়ের অভিযোগে এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম হারুন অর রশিদ (৫৩)। সে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার সটিবাড়ী এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে।

সাভার মডেল থানায় সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঢাকা জেলার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা।

সাভার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম জানান, সাভারের ভরারী এলাকার আসলামের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হয়েছে মর্মে– ভয়ভীতি দেখান হারুন। নিজেকে পরিচয় দেন পুলিশের এসআই হিসেবে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিনিময়ে নানা দফায় নগদ ও চেক মারফত গ্রহণ করেন চার লাখ টাকা।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গত ১৭ জুলাই দুপুরে হারুন অর রশিদ ও তার সহযোগীরা ভরারী এলাকার বাসিন্দা আসলামের বাসায় গিয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা আছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়েছে। এক পর্যায়ে হারুন অর রশিদ ও তার সহযোগিরা ওই পরোয়ানার ভিত্তিতে আসলামকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশে টানাটানি শুরু করে। এ সময় হারুন চার লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়।

পরে আসলাম ব্রাক ব্যাংকের হেমায়েতপুর শাখায় গিয়ে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দুটি চেকের বিপরীতে তিন লাখ টাকা উত্তোলন করে হারুনকে প্রদান করেন। অবশিষ্ট টাকার জন্য আরও দুটি চেক গ্রহণ করে আসামিরা। এভাবে বিভিন্ন সময়ে চাপ দিয়ে পর্যায়ক্রমে চার লাখ টাকা গ্রহণের পর গত ৫ আগস্ট হারুন অর রশিদ আসলামের বাসায় গিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

এ সময় হারুন অর রশিদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আসলাম নিজেই চলে যান সাভার মডেল থানায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, কোন জিডিও নেই। এমনকি হারুন অর রশিদ নামের কোনো পুলিশ সদস্য সাভার মডেল থানায় কর্মরত নেই।

বিষয়টি জানার পর তিনি ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে বিস্তারিত জানালে ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) রাসেল মোল্লার নেতৃত্বে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং একটি চেক জব্দ করে।

এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে হারুনকে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2