দাদার ইচ্ছা পূরণে পালকিতে বউ নিয়ে এলেন নাতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ জুলাই,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের উলিপুরে দাদার ইচ্ছা পূরণে চার বেহালার পালকিতে করে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন জাকারিয়া সরকার (২৭) নামের এক যুবক।
শনিবার (১ জুলাই) উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরনে কালো শেরওয়ানি, মাথায় পাগড়ি পরে শতাধিক বরযাত্রী নিয়ে নববধূকে আনতে যাচ্ছেন বর। গ্রাম বাংলার হারানো এই ঐতিহ্য হঠাৎ দেখতে পেয়ে এলাকার মানুষজন যেমন হয়েছেন অবাক তেমনি পেয়েছেন আনন্দ।
জাকারিয়া সরকার ওই গ্রামের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। বর্তমানে বাবার ব্যবসা দেখাশুনা করছেন।
কনের বাড়িও একই এলাকায়। তিনি ব্যবসায়ী আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লবের কন্যা ফাতেমাতুজ জোহরা পিয়া। তিনি হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
বিয়েতে আসা শফিকুল ইসলাম জানান, পালকি একটি পুরোনো ঐতিহ্য। আধুনিক যুগে বিয়েতে সচরাচর বাস-মাইক্রোবাস, হেলিকপ্টারসহ আধুনিক বাহন দেখা যায়। কিন্তু জাকারিয়ার বিয়ে পালকি দেখে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। বিষয়টি সবাই মুগ্ধ করেছে। জাকারিয়ার গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে বিয়ের প্রত্যেকটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল জাঁকজমকপূর্ণ।
কনের বাবা আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লব বলেন, আমরা একই গ্রামের বাসিন্দা। বিয়েতে পালকি থাকবে এটা দুই পরিবারের সম্মতি ছিল। পালকি গ্রাম বাংলার একটি হারানো ঐতিহ্য। এ প্রজন্ম পালকির নাম শুনলেও চোখে দেখেনি। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই আমাদের এ আয়োজন।
এ বিষয়ে জাকারিয়া সরকার বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আমার দাদা ওসমান আলী সরকার মারা গেছেন। দাদার ইচ্ছে ছিল একমাত্র নাতির বিয়ে হবে পালকিতে করে। তাছাড়া কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পালকি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। দাদার ইচ্ছে পূরণ এবং হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মূলত এ আয়োজন।